মাউন্ড এভারেস্ট। পৃথিবীর সমস্ত অভিযাত্রীদের কাছে স্বপ্নের শৃঙ্গ। শুধু বিশ্বের মধ্যে উচ্চতম বলে নয়, যাতায়াতের সুবিধা আর এটা পৃথিবীর অন্য উঁচু শৃঙ্গগুলি থেকে তুলনামূলক সহজ।
তবে সহজ হলেও উচ্চতম শৃঙ্গে ওঠার একটা গর্ব তো রয়েইছে। সেটা কিছুতেই কেড়ে নেওয়া যাবে না। তাই তো পৃথিবীর প্রথম দুই অভিযাত্রী তেনজিং নোরগে ও এডমন্ড হিলারি অমর হয়ে রয়েছেন ইতিহাসের পাতায়।
বইয়ে পড়েছি, তাছাড়া যাঁরা অভিযাত্রী বা অভিযাত্রী নন, কিন্তু ভূগোলের খোঁজ রাখেন, তাঁরা সকলেই জানেন এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার। কিন্তু যা জানেন তা কতটা সঠিক।
সঠিক ছিল যখন ওই উচ্চতা মেপে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। এখন কিন্তু আপনি ওই উচ্চতা লেখেন, তাহলে কিন্তু আপনি ভুল লিখবেন। কেন ?
কারণ এখন আর এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার নয়। কিছুটা বেশি। কিন্তু কত, তা হলফ করে বলা যাবে না। কারণ উচ্চতা স্থির তো নয়।
না কোনও পাগলের প্রলাপও নয়, কোনও লেখার ভুলও নয়। এভারেস্টের উচ্চতা আসলে স্থির নয়। বাড়ছে। প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে তার উচ্চতা।
প্রতি বছর ভূতাত্ত্বিকগত উত্থানের কারণে গড়ে আনুমানিক ৪ মিলিমিটার উচ্চতা বৃদ্ধি পায় এভারেস্টের ! যা এখনও বাড়ছে। বেড়েই চলেছে।
চিন ও নেপালের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এভারেস্ট পর্বতের শীর্ষবিন্দু দিয়ে গেছে। এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহিম জানিয়েছিলেন এভারেস্ট শৃঙ্গের দৈর্ঘ প্রস্থ হলো ৩০ ফুট ও ৬ ফুট।
১৯৭৫ সালের ১৬ মে প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করার কৃতিত্ব লাভ করেন জাপানের জুনকো তাবেই।
প্রথম প্রতিবন্ধী হিসেবে ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টম হুইটেকার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেন। একটি কৃত্রিম পা নিয়েও তিনি এভারেস্ট জয় করে বিশ্ববাসীকে চমকে দেন।
নেপালের আপা শেরপা সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয় করেছেন। ১৯৯০ সালের ১০ মে থেকে ২০১১ সালের ১১ মে পর্যন্ত তিনি মোট ২১ বার তিনি এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছেন।