শীত কবে পাকাপাকিভাবে পড়বে তা নিয়ে তর্ক, চুলচেরা বিশ্লেষণ চলুক। কিন্তু তাতে পড়তেই খাদ্যরসিক বাঙালি মজেছে বেগুনে। বেগুন পোড়া হোক বা ভাজা,মাছের ঝোল হোক বা বেগুনের খাসি। শীতের মরশুমি বেগুনের স্বাদই আলাদা। তাই বং হেঁশেলে এখন রোজ পাতে উঠছে বেগুন, এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বেগুন খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল। কিন্তু হিসেবের বাইরে গেলেই শরীরে নানা-রকম সমস্যাও দেখা দেয়।
বেগুন কয়েকটি ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগায়
১.ভিটামিন এ সমৃদ্ধ বেগুন চোখের জন্য খুবই উপকারী। চোখের যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে এবং দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ায়।
২. বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং কে। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। রক্ত চলাচল সচল রাখে।
৩.বেগুনে আছে ডায়েটারি ফাইবার। যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।
৪. যাঁদের কোলেস্টেরল আছে তাঁদের জন্য বেগুন উপকারী। কারণ বেগুনে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ রাখে।
বেগুনের ফলে কী কী প্রভাব পড়তে শরীরে?
১. যাঁরা অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য বেগুন হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর। শরীরের অ্যালির্জিগত সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে বেগুন।
২. বেগুনে আছে অতিরিক্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় পটাশিয়ামের প্রায় ২৯ শতাংশ পাওয়া যায় ৪৫৮ গ্রাম বেগুনে। তবে অত্যধিক হারে বেগুন খেলে বমি বমি ভাব বা বমির সমস্যা দেখা দিতে পারে।