ঘি ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত হওয়া পরিশোধিত মাখন। খাবারের স্বাদ- গন্ধ বৃদ্ধিতে রান্নায় ঘি বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ঘি-এর তুলনা নেই। স্বাদ ছাড়াও ঘি-এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।
প্রাচীনকাল থেকে ঘি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদে ঘিকে সুপারফুডের তকমা দেওয়া হয়। এতে নিরাময়কারী উপাদান বর্তমান। শীতকাল এসে গেছে। আসুন জানা যাক বছরের এই সময়কালে ঘি খেলে কী কী উপকার মিলবে।
ঘি ত্বক, স্মৃতিশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এছাড়াও এর রয়েছে আরও একাধিক গুণ।
শরীর গরম রাখে
শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য ঘি খুব ভাল বলে মনে করা হয়। নিয়মিত পাতে সামান্য ঘি নিলে, তা শরীরকে তরতাজা রাখে।
কাশি ও সর্দি নিরাময়
ঘি-তে রয়েছে প্রদাহরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য যা, কাশি এবং সর্দি নিরাময়ে উপকারী। ঠান্ডা লাগলে, ঘি অনেক উপকারী।
ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে
ঘি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। ঘি-তে এমন কিছু চর্বি থাকে যা ত্বককে নরম করতে সাহায্য করে। ঘি মুখে মাখলে আসে জেল্লা। এছাড়া চুলকে কালো, ঘন করার জন্যেও ঘি মাখতে পারেন।
ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে
ঘি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। ঘি-তে এমন কিছু চর্বি থাকে যা ত্বককে নরম করতে সাহায্য করে। ঘি মুখে মাখলে আসে জেল্লা। এছাড়া চুলকে কালো, ঘন করার জন্যেও ঘি মাখতে পারেন।
হরমোনের ভারসাম্য
দেশি ঘি-তে থাকে ভিটামিন এ, ভিটানি এ২, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই। ফলে তা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিতে সক্ষম। গর্ভবতী ও সদ্য মা হওয়া স্ত্রীদের দেশি ঘি খাওয়ানো হয় যুগ যুগ ধরে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান থাকে ঘি-তে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের ঘি খাওয়া উচিত।
বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ঘি
হজমের সমস্যা, স্থূলতা কমাতে, অস্টিওপরোসিস নিরাময় করতে, শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে, মানসিক ক্লান্তি এড়াতে, পিরিয়ডের সমস্যায়, কম খিদে লাগলে ঘি খুব ভাল কাজ করে।
কত পরিমাণে ঘি খাওয়া উচিত
নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। হৃদরোগ বা স্থূলতার সমস্যা থাকলে, বিষয়টা কিছুটসা আলাদা। প্রতিদিন সাধারণত ১০ থেকে ১৫ গ্রাম ফ্যাট খাওয়া উচিত। কোনও কিছুই অত্যাধিক খাওয়া ভাল না, তাই অবশ্যই পরামর্শ করুন আপনার চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে।