বর্তমানে পরিবর্তিত লাইফস্টাইল ও খাওয়া দাওয়ার জন্য হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। রক্ত জমাট বেঁধে তা শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে হৃদপিণ্ডে সঠিকভাবে পৌঁছায় না। এর ফলেই বুকে ব্যথা শুরু হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা বেড়ে যায়। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, যা দেখে আপনি সহজে সনাক্ত করতে পারবেন এই রোগ।
গরমকালে কিংবা ব্যায়াম করার পর হাত ঘেমে যাওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার। তবে এই সমস্ত কারণ ছাড়া অত্যাধিক পরিমাণে ঘাম হওয়া মোটেও ভাল না। জানেন কি, এটাও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ হতে পারে? অনেক সময়ে বুকের ব্যথার সঙ্গে ঘাম হওয়া ও পেশী শক্ত হয়ে যায় কোনও ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে।
যে রক্তনালীগুলি হৃদপিণ্ডে রক্ত বহন করে, তাদের করোনারি ধমনী বলে। এই ধমনীতে কোলেস্টেরল জমে গেলে তা ব্লক হয়ে যায়। এ কারণে হৃদপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ হ্রাস পায় এবং রক্তকে পাম্প করার জন্য হার্টকে লড়াই করতে হয়। হৃদপিণ্ডে এবং শরীরের তাপমাত্রা কম রাখার চেষ্টা করার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ।
হাত, কাঁধ, চোয়াল, দাঁত বা মাথা ব্যথাও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। এই ধরণের সমস্যায় গাফিলতি করবেন না এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যত শীঘ্রই সম্ভব।
ড্রাগ বা যে কোনও ধরণের নেশা সরাসরি মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। বিশ্বজুড়ে কোকেন কোনও না কোনও রূপে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোকেনের অতিরিক্ত ব্যবহার হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
দূষণও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হতে পারে। বায়ু দূষণে এমন অনেকগুলি বিষাক্ত গ্যাস এবং কণা রয়েছে যা কোনও ব্যক্তির ফুসফুসে প্রবেশ করে আক্রমণ করে। এটি শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডায়েটে কিছু পরিবর্তন করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো যায়। মশলাদার খাবার বর্জন করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার ধমনীগুলিকে ব্লক করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই তাঁরা বিশ্বাস করেন যে ভূমধ্যসাগরীয় খাবার ডায়েটে রাখা ভালো। যেমন রুটি, শাকসবজি, ফল ও মাছ ইত্যাদি। এই ডায়েটে মাংস খুব অল্প পরিমাণে খাওয়া হয়। এছাড়াও সাধারণ তেলের পরিবর্তে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা হয় এক্ষেত্রে, যা খুব ভাল স্বাস্থ্যের জন্য।