হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত একটি মারাত্মক রোগ। সারা বিশ্বে একশো কোটির বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের শিকার। উচ্চ রক্তচাপে ঝুঁকি দুই ধরনের। প্রথমটি হল সিস্টোলিক রক্তচাপ, যা ১৩০ মিমি এইচজি অতিক্রম করলে জীবন সংকট হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ যা ৮০ মিমি এইচজি, কিছুটা উদ্বেগজনক।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশিরভাগ মানুষ ওষুধের আশ্রয় নেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে প্রাকৃতিক ভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কোনও বিকল্প নেই। এমন কিছু জিনিস আছে যা, ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমতে পারে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল বলে মনে করা হয়। শরীরে ওমেগা-৩-এর ঘাটতি পূরণ করতে, স্যালমন মাছের চেয়ে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। এই মাছ শুধু শরীরে গিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে না, রক্তের কোষ ও প্রদাহকেও প্রভাবিত করে।
ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ডায়েটে ব্রকলি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। ব্রকলিতে মজুত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, নিম্ন এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে পারে। প্রায় দুই লক্ষ মানুষের উপর করা একটি গবেষণা বলছে, যারা সপ্তাহে চার চামচ ব্রকলি খান তাদের রক্তচাপের সমস্যা, যারা মাসে একবার খান তাদের তুলনায় কম।
পালং শাকে উপস্থিত পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং নাইট্রেটও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে প্রতিদিন পালং শাকের স্যুপ পান করেন তাদের উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকি কম থাকে।
লেবু, কমলালেবু এবং আঙুরের মতো ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অদম্য ক্ষমতা রয়েছে। প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ এই ফল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কমলালেবু ও আঙুরের রস পান করলে রক্তচাপের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আর্জিনাইন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ কুমড়ো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও সেরা। কুমড়োর বীজ থেকে তৈরি ঔষধি তেল উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খুবই ভাল। ২৩ জন মহিলার উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এর ৩ গ্রাম তেল খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
ডাল এবং শাক-সবজিতে মজুত পুষ্টি উপাদান শরীরে রক্ত প্রবাহকে ভাল ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ডাল ও শাকসবজি খেলে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হয় না বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সকালের ডায়েটে গাজর অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না। অনেক ধরনের ফেনোলিক যৌগ যেমন ক্লোরোজেনিক, পি-কৌমারিক এবং ক্যাফেইক অ্যাসিড গাজরে পাওয়া যায়। এগুলি শুধু প্রদাহ ও রক্তনালীর জন্যই ভাল নয়, লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যাও এর দ্বারা দূর করা যায়।
ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ডায়েটে ব্রকলি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। ব্রকলিতে মজুত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, নিম্ন এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে পারে। প্রায় দুই লক্ষ মানুষের উপর করা একটি গবেষণা বলছে, যারা সপ্তাহে চার চামচ ব্রকলি খান তাদের রক্তচাপের সমস্যা, যারা মাসে একবার খান তাদের তুলনায় কম।