High Cholesterol: আজীবন দৃষ্টিহীন করে দিতে পারে হাই কোলেস্টেরল, কোন সঙ্কেতে বোঝা যায়?

কোলেস্টেরল শরীরে তৈরি হতে থাকা এমন একটি ওয়াক্সের মত পদার্থ। কোলেস্টেরল দু'রকমের হয়। ভালো কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল।  খারাপ কোলেস্টেরল খারাপ শুধু নয়, অত্যন্ত খারাপ। আর্টারি বা ধমনিতে কোলেস্টেরল জমা হলে ধমনি সংকুচিত হতে শুরু করে এবং ব্লাড ফ্লোর গতি ধীর হয়ে যায় এবং এক সময় তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যাতে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যা তৈরি হয়।

শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া কোলেস্টেরল ভয়ঙ্কর নয় কিন্তু যখন এর মাত্রা অত্যন্ত বেড়ে যায় তখন এর মধ্যে একাধিক রোগের সমস্যার আশঙ্কা বাড়তে থাকে। সুগার এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটওয়ালা জিনিসগুলির মাধ্যমে শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল বাড়তে থাকে।

শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল বেশি হওয়াতে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যা তৈরি হয়। শুধু তাই নয় এর কারণে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ চলে যেতে পারে। 

কোলেস্টেরল লেবেল বেড়ে গেলে চোখের আশপাশে কিছু বদল দেখতে পাওয়া যায়। এর কারণে চোখের রং, দেখার ক্ষমতার ওপরে প্রভাব পড়ে। যদি আপনি আপনার চোখকে স বসময় সুস্থ দেখতে চান, তাহলে জেনে নিন যে, আপনাকে কী কী সাবধানে অবলম্বন করতে হবে।

কীভাবে হাই কোলেস্টেরল আপনার চোখকে প্রভাবিত করে?

জেন্টিল আসমা (Xanthelasmata): সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণের কারণে চোখে নাকের আশপাশে এবং স্ক্রিনে হলদে ভাব চলে আসে। এটিতে আপনার দৃষ্টিতে কোনও প্রভাব পড়ে না। এই সমস্য়ার মুখে পড়েন, বেশিরভাগ যাঁরা ধূমপান করেন এবং যাদের ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার এবং স্থূলত্বের সমস্যা আছে।

এই সময় চোখের উপর কোলেস্টেরল জমা হওয়ার শুরু হয়। এখানে কোলেস্টেরল চোখের পাতার ওপরে এবং নীচের অংশে দেখা যায়। চোখের আশপাশে একসঙ্গে একাধিক কোলেস্টেরলের দানা নজরে আসে।

আর্কাস সেনলিস (Arcus Senilis) আরকাস সেনিলিস বা কর্নিয়াল আরকাস এমন একটি পরিস্থিতি, যাতে আপনার চোখের কর্নিয়া এবং চারদিক নীল হয়ে যায় এবং ধূসর রঙের একটা রঙিন পর্দার মতো বিকশিত হতে থাকে। এটি কর্নিয়াতে কোলেস্টেরল জমা হওয়ার কারণে হয়। এবং মুখ্যরূপে মাঝবয়সী লোকেদের মধ্যে বেশি হয়। অপসারণ করার কাজ করা হয়।

রেটিনালভেন ভেন অক্লুসান (Retinal Vein Occlusion) রেটিনাল ভেন অক্লুশান একটা এমন রোগ যার সোজা সম্পর্ক হাই কোলেস্টেরলের সঙ্গে থাকে। এটি সাধারণভাবে গ্লুকোমা, ডায়বেটিস ভাসকুলার ডিজিজ, হাই ব্লাডপ্রেসার এবং ব্লাড ডিসঅর্ডারের সঙ্গে রয়েছে। এই রোগের কারণে রেটিনা পর্যন্ত রক্ত সরবরাহকারী শিরা ব্লক হয়ে যায়।