সারা বিশ্বে করোনা মহামারির বিস্তারের কারণে, মানুষ গৃহবন্দি থাকতে বাধ্য হয়েছে। ভ্রমণপিপাসুদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা লকডাউনের কারণে মাঠে মারা গিয়েছে। কিন্তু এখন বেশিরভাগ পর্যটন কেন্দ্র খোলা রয়েছে এবং সপ্তাহটিও ছুটিতে পূর্ণ। ১৪ অক্টোবর নবমী এবং ১৫ তারিখে বিজয় দশমীর ছুটি থাকবে। তারপর ১৬ অক্টোবর শনিবার এবং ১৭ রবিবার। এর পরে, ১৯ অক্টোবর ঈদ-ই-মিলাদের ছুটি থাকবে। আপনি যদি অফিস থেকে ১৮ অক্টোবর ছুটি নিতে পারেন, তাহলে ৬ দিনের ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেতে পারে। সহজেই ১০ হাজার টাকায় এই জায়গাগুলিতে ঘুরে আসতে পারেন। তবে দিল্লি থেকে এই জায়গাগুলিতে যাওয়া সবচেয়ে সহজ। তাই কোনওভাবে দিল্লি পৌঁছতে পারলেই কেল্লাফতে।
কঙ্গোজোড়ি গ্রাম (হিমাচল প্রদেশ): যদি আপনি কাছ থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে চান, তাহলে হিমাচল প্রদেশের কঙ্গোজোড়ি গ্রামে যেতে পারেন। সিরমৌর জেলার এই গ্রামে পৌঁছাতে আপনাকে দিল্লি থেকে প্রায় ২৭৫ কিমি ভ্রমণ করতে হবে। তবে এখানকার দৃশ্যগুলি সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দেবে।
ল্যান্সডাউন (উত্তরাখণ্ড): আপনি যদি প্রকৃতির কোলে কিছু সময় কাটাতে চান, তাহলে অবশ্যই একবার ল্যান্সডাউন ঘুরে আসুন। দিল্লি থেকে এই সুন্দর জায়গাটির দূরত্ব মাত্র ২৭৯ কিলোমিটার। ক্যাম্পিং থেকে শুরু করে খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা, খরচ হবে ১০,০০০এর মধ্যে।
পিথোরাগড় (উত্তরাখণ্ড) : এই বিখ্যাত স্থানটি দিল্লি থেকে ৪৬৩ কিমি দূরে। একে হিল স্টেশন বলা যায় না, কিন্তু এখানকার আবহাওয়া ১২ মাসই খুব ভালো থাকে। পাহাড়ে ঘেরা এই শহরের সৌন্দর্য চোখে পড়ার মত।
শিবপুরী (উত্তরাখণ্ড): হৃষিকেশ পৌরাণিক ধর্মীয় স্থান এবং আশ্রম ছাড়াও উঁচু পাহাড় এবং ঘন বনের জন্যও পরিচিত। এই জায়গাটি দিল্লি থেকে প্রায় ২৪৪ কিমি দূরে। এর থেকে একটু দূরে শিবপুরী। আপনি এখানে প্রবাহিত পবিত্র গঙ্গা নদীতে রাফটিং উপভোগ করতে পারেন। এ ছাড়া এখানে কেউ বাঞ্জি জাম্পিং, জলপ্রপাত এবং ট্রেকিংয়ের জন্যও যেতে পারেন।
শোগি, হিমাচল প্রদেশ : এই স্থানটি হানিমুন কাপেলদের মধ্যে খুবই বিখ্যাত এবং একই সাথে যারা পরিবারের সাথে সময় কাটাতে আসে তারাও এই জায়গার সৌন্দর্য পছন্দ করেন। যদি আপনার কাছে কয়েকদিনের ছুটি থাকে, তাহলে এখানে পরিকল্পনা করতে দেরি করবেন না।
খাজিয়ার : হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত, খাজিয়ারকে বলা হয় ভারতের ছোট্ট সুইৎজারল্যান্ড। আপনি যদি শান্তি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে একসাথে দেখতে চান, তাহলে আপনি খাজিয়ারের চেয়ে ভালো জায়গা পাবেন না। এই জায়গাটি অন্যতম সেরা রোমান্টিক স্থানও। এখানে আপনি ১০ হাজার টাকায় খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারেন।
মুক্তেশ্বর, উত্তরাখণ্ড : সুন্দর হওয়া ছাড়াও এই জায়গাটি বেশ পরিচ্ছন্ন। আপনি এখানে পরিষ্কার এবং শীতল বাতাস উপভোগ করতে পারেন। এখানে আপনি ট্রেকিং, প্যারাগ্লাইডিং, বাইকিং, রাফটিং করতে পারেন। দিল্লি এবং এনসিআরে বসবাসকারী লোকেরা ১০ হাজার টাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারেন।
ভরতপুর পাখি অভয়ারণ্য (রাজস্থান) : ভরতপুর পাখি অভয়ারণ্য বিশ্বের অন্যতম সেরা পাখি অভয়ারণ্য পার্ক এবং কেওলাদিও জাতীয় উদ্যান নামেও পরিচিত। এটি রাজস্থানে অবস্থিত। এখানে আপনি হাজার হাজার বিরল এবং বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি দেখতে পাবেন।
রানীক্ষেত (উত্তরাখণ্ড) : উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত, রানীক্ষেত একটি দুর্দান্ত পার্বত্য পর্যটনস্থল। আপনি যদি প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করেন তাহলে এই জায়গাটি আপনার জন্য সেরা। এখানে আপনি প্যারাগ্লাইডিং, বাইকিং, রাফটিংও করতে পারেন। আপনি রানীক্ষেতের ঝুলা দেবী মন্দিরও দেখতে পারেন।
মাউন্ট আবু : রাজস্থানের হিল স্টেশন, মাউন্ট আবু জুলাই মাসে হালকা বৃষ্টির মধ্যে উপভোগ করা যায়। মাউন্ট আবুতে, আপনি রক ক্লাইম্বিং, ট্রেকিং এবং র্যাপেলিং এর মতো কার্যক্রম উপভোগ করতে পারবেন। ক্যাম্পিং এবং ট্রেকিং ছাড়াও ঘোড়ায় চড়া এবং হট এয়ার বেলুনের কার্যকলাপও এখানে বেশ বিখ্যাত। বর্ষাকালে এখানকার আবহাওয়া আরও ভালো হয়ে যায়। এখানেও আপনাকে ঘুরতে যেতে একই পরিমাণ খরচ করতে হবে।