সয়াবিন নামটা শুনলেই অনেকে নাক সিঁঁটকোতে পারেন। মাছ, মাংস, ডিম ছেড়ে শেষে কিনা সয়াবিন! তা মনের মধ্যে যাই চলুক না কেন, যতই তাকে নিরামিষ বলে দূর ছাই করুন না কেন, মাছ, মাংস, ডিমের চেয়ে কম প্রোটিন বা খনিজ নেই এতে।
সোয়াবিনে আছে ভরপুর পুষ্টি। নিয়মিত সয়াবিন খেলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সয়াবিন সব বয়সীদের জন্য সমান উপকারী। রোজ খেলেও কোনও সমস্য়া নেই।
সপ্তাহে যদি গড়ে ৫০ গ্রাম সয়াবিন খেতে পারেন, তাহলে হাড়ের ক্ষয় রোধ হয় এবং হাড় মজবুত হয়। প্রতিদিনের খাবারে সয়াবিন রাখায় কোনও অসুবিধে কিছু নেই। যারা ডায়েট প্লান করেন তারা রোজ সয়াবিন খান।
সয়াবিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
সয়াবিনে আছে ফাইটিক অ্যাসিড, সাপোনিং, অ্যাসিফ্ল্যাভন এবং নানা পুষ্টিকর উপাদান। এগুলির প্রতিটিই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
সয়াবিন ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক করে
সয়াবিনে আছে লেসিথিন ও আইসোফ্ল্যাভেন। এই দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো লো ডেনসিটি কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। এলডিএল অর্থাৎ লোড ডেনসিটি কোলেস্টেরল অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ধমনীর মধ্যে কোলেস্টেরল জমলে রক্ত চলাচল বাধা পায়। সয়াবিনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এই সমস্যার মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
সয়াবিন হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে
সপ্তাহে অন্তত তিন দিন সয়াবিন খান। সয়াবিন খেলে এইচডিএল এবং এলডিএল এর ভারসাম্য রক্ষা পায়। খাবার পরিপাকের সময় সভাপতি নামে একটি যৌগ তৈরি হয়, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ফাইবার রক্তের ট্রাই গ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোখে সয়াবিন
সয়াবিন ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে. সোয়াবিনের আইসোফ্লাভন অত্যন্ত জোরালো ফাইটো ইস্ট্রোজেন। চামড়া ও চুল উজ্জ্বল ঝকঝকে রাখতে এই সব সাহায্য করে। সয়াবিনে থাকা লেসিথিন রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে ও হার্ট ও মস্তিষ্ককে স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এতে অকালবার্ধক্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এতে থাকা লিখিসিন ফ্যাট কমায় ও মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। তাতে ওজন ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।