পুজো তো এসেই গেল। বাঙালির উৎসবের অন্যতম অঙ্গ হল খাওয়াদাওয়া। কবজি ডুবিয়ে না খেলে আর, কী উৎসব পালন করলাম? এর অর্থই হল সারা বছরের ডায়েট চার্ট চুলোয় যাক, দেদার ফূর্তি আর জম্পেশ খাওয়া। আর শুধু দুর্গাপুজো তো নয়, এরপর লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা। ক্যালোরি নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে ঠকতে হবে।
কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। লাগাম ছাড়া খাওয়া-দাওয়াতেও শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি করে। মুখরোচক কিন্তু জাঙ্ক খাওয়া দাওয়ার ফলে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটি কখন যে গোপনে এসে দাঁড়ায় বোঝাও যায় না। আর মাসখানেক, উদরাশয়ের ওপর অত্যাচারের পর ওষ্ঠাগতপ্রাণ হয়ে পড়ে, যা টেরটিও পাওয়া যায় না। তখন মনে হয় একটু বুঝে খেলে হত। কিন্তু ততক্ষণ তো যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ফলে উপায়? আপনাদেরও এমন অবস্থা না হয় তার জন্য আমরা পদ্ধতি বাতলে দিচ্ছি। খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গেও সমঝোতাও করতে হবে না, আবার শরীরও ঠিক থাকবে। আসুন জেনে নিই বিশেষজ্ঞরা কী উপায় বলছেন।
টকদই (Curd)- বিশেষজ্ঞদের দাবি, সারাদিন যা খুশি খান, রাতে শোওয়ার আগে বাড়িতে পাতা টকদই খেয়ে নিন একটু। এটি পেটে লিক্যুইড সোপের মত কাজ করবে। খাবারের তেল-মশলা কাটিয়ে দেবে।
গোলমরিচ(Black Peeper)-যদি অ্যালকোহল বেশি খেয়ে ফেলেন, তাহলে গরম জলে গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে খেতে পারেন। এর ফলে অন্য কোনও সাইড এফেক্ট হবে না।
চিজ(Cheese)- বা চকোলেট- খুব মশলাদার কিছু খাওয়ার পর চিজ বা চকোলেট খেয়ে ফেলে খাবারের বাজে গুণের প্রভাব শরীরে নষ্ট হয়। শরীর খারাপ করার সম্ভাবনা কমে যায়।
মধু(Honey) - রাতে ভাত বা রুটি আপাতত কদিন বাদ দিয়ে দিন। খিদে পেলে অন্য কিছু খান। আর যদি মনে হয় বেশি বিরিয়ানি, চাউমিন, মাংস, মশলাদার খাবার খেয়ে ফেলেছেন, তাহলে একগ্লাস উষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খান। সুযোগ হলে দারচিনি গুঁড়োও মিশিয়ে নিতে পারেন।
পাতিলেবু খান(Lime)- সব থেকে ভাল হল পাতিলেবু। এক গ্লাস গরম জলে একটা পাতিলেবু চিপে খেয়ে নিন। এতে হজমও হবে। পেট পরিষ্কার হবে। মদ থেকে খাবারের অতিরিক্ততার কুপ্রভাব নষ্ট করবে। এমনিতেও সারা বছর খেতে পারেন।