জীবনযাত্রা, স্ট্রেস, দূষণ ইত্যাদি নানা কারণে বর্তমান পিরিয়ডসের নানা সমস্যায় ভুগছেন বহু মহিলারা। এই সমস্যা মূলত দেখা যায় ১৮ থেকে ৩৮ বছর বয়সীদের মধ্যে। কেউ ভুগছেন অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যায়, তো কারও আবার দেখা দিচ্ছে অতিরিক্ত রক্তপাত। এই সমস্যাগুলি ডেকে আনে, আরও একাধিক রোগ।
সাধারণত, ঋতুচক্রের মধ্যে পার্থক্য থাকে ২৮ দিনের। বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের ডিম্বাশয়ে তৈরি হয় এক হরমোন, যা পরিবর্তন ঘটায় জরায়ুর আস্তরনে। সেই সময় ডিম্বাশয়ে ডিম্বানু উৎপাদন শুরু করে। আর এই সম্পূর্ণ পদ্ধতিতে সময় লাগে ২৮ দিন। এই মাসিক চক্রে কোনও সমস্যা দেখা দিলে তখনই অনিমিয়ত পিরিয়ডসের সমস্যায় ভুগতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খুব সহজেই অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যা দূর করা সম্ভব মূলত তিনটি দিকে নজর রেখে - জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। জেনে নিন, স্বাস্থ্যকর কোন খাবারগুলি খেলে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে সহজে।
ভিটামিন-সি
এই সমস্যা সমাধানে ভিটামিন-সি রয়েছে, এরকম খাবার খাওয়া খুব স্বাস্থ্যকর। যে কোনও ধরণের লেবু, আমলকি, কাঁচা লঙ্কা, পেঁপে, পেয়ারা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে।
গুড়
অনেকেরই অজানা, অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যায় গুড়ের জুরি মেলা ভার। প্রতিদিন খালি পেটে সামান্য পরিমাণ গুড় খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
তিল ও পাটালি গুড়ের ড্রিঙ্ক
সাদা তিল শুকনো কড়াইতে নেড়ে গুঁড়ো করে নিন। এক কাপ জলে, ১ চামচ তিলের গুঁড়ো, ১ চামচ হলুদ এবং ১ চামচ শুকনো আদার পাউডার মিশিয়ে ফুটিয়ে দিন। ফোটানো মিশ্রণটি ছেঁকে পাটালি গুড় মিশিয়ে খান। পিরিয়ডসের ডেটের ঠিক এক সপ্তাহ আগে খেলে উপকার পাবেন।
ধনে- মৌরির ড্রিঙ্ক
১ চামচ ধনে ও ১ চামচ মৌরি ২ গ্লাস জলে মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ফোটানো হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে, ৫-৬ ঘণ্টা পরে পান করুন।