দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং, লাভা, লোলেগাঁও. লাটাগুড়ি, গরুমারা, চাপরামারি,বক্সা, মহানন্দা, বৈকুণ্ঠপুর মিরিক সহ ইদানীং আরও কিছু টুরিজম স্পট বাঙালির পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে।
সবই এখন পুরনো। মানুষ চান নিত্য়নতুন জায়গা। পাহাড়-জঙ্গল-সমুদ্র তো রয়েইছে আর থাকবেও। কিন্তু নতুন কিছু যুক্ত হলে ক্ষতি কী?এমনই সুযোগ আসতে চলেছে পৃকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের জন্য।
ভ্রমন প্রিয় বাঙালিরা খোঁজেন প্রকৃতির সৌন্দর্য। সেই সঙ্গে চুপচাপ নির্জনতায় দু'দণ্ড সময় কাটানোর সুযোগ। অনেকেই উত্তরের চা-বাগান অত্যন্ত পছন্দের। তাই সুযোগ পেলেই তাঁরা ছুটে যান চা বাগানের ছোট নিবিড় ঝোপের আশ্রয়ে।
এবার তাঁদের জন্য নতুন করে সুখবর দিচ্ছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে বাস্তবায়িত হতে চলেছে চা বাগান হোমস্টে টুরিজমের সুযোগ।
জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-দর্জিলিংয়ের বিভিন্ন চা বাগানে তৈরি হচ্ছে হোম স্টে (Home Stay)। সহায়তা করবে রাজ্য পর্যটন দফতর। পর্যটকদের কথা চিন্তা করে খুব কম খরচে চা বাগানে থাকার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিচ্ছে ক্ষুদ্র চা চাষিরা।
এবার থেকে খুব অল্প খরচ করলেই ডুয়ার্সের চা বাগানের এই ঘরগুলিতে রাত্রি যাপন করে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা। মিলবে নানা রকম আধুনিক সুবিধাও, তবে সীমার মধ্যে। কারণ চা বাগানের আদিমতা যাতে নষ্ট না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
পর্যটকদের জন্য সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে ছোট ছোট হোমস্টেগুলি। বাগানের ভিতর অল্প কয়েকটি হোমে থাকার অনন্য সুযোগ। অন্যদিকে এই হোম স্টে গুলি থেকে জীবিকা অর্জন করবেন চা চাষিরা।
এর আগেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে চা বাগানে কিছু হোমস্টে চলছিল, কিন্তু তার খরচ ছিল আকাশছোঁয়া আর নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তার কোয়ালিটি নিয়েও বিস্তর অভিযোগ ছিল। সরকার নিয়ন্ত্রিত হলে সেই সমস্য়া থাকবে না।