ফুচকা এমন একটি সুস্বাদু, মুচমুচে খাবার, যার নাম শুনলেই জিভে জল আসে। ভারতের নানা প্রান্তে নানা নামে বেশ জনপ্রিয় এই পদটি। কোথাও গোলগাপ্পা, তো কোথাও পানিপুরি বা গুপচুপ নামে বিখ্যাত এই মুচমুচে টক-ঝাল-নোনতা স্ন্যাক্স।
বাংলায় এটি ফুচকা নামেই পরিচিত। বাংলা ও বাঙালির সবচেয়ে জনপ্রিয়, সস্তা এই স্ট্রিট ফুডটি চেখে দেখে প্রসংশা করেছেন অনেক ভিনদেশী পর্যটকও।
পৌরাণিক কাহিনীতেও নাকি উল্লেখ রয়েছে এই ফুচকার। বিশ্বাস করা হয়, অজ্ঞাতবাসের সময় পাণ্ডবদের নাকি ফুচকা বানিয়ে খাইয়েছিলেন দ্রৌপদী। ভাবুন!
অনেকে বলেন, ৩৫০-৪০০ বছর আগে মগধে (এখনকার বিহার-ঝাড়খণ্ড) এই ফুচকার প্রচলন হয়েছিল। তবে খাওয়ার সময় এতসব ইতিহাস মাথায় থাকে না। পাতে পড়তে না পড়তেই টপাটপ মুখে ঢুকে মচ মচ শব্দে হারিয়ে যায় টক জল, ঝাল-মশলায় টইটম্বুর গোলগাল ফুচকা।
শহরাঞ্চলের অলিতে গলিতে ফুচকার অসংখ্য ঠেলা বসে প্রতিদিন। মুদ্রাস্ফীতির বাজারে এখন ১০ টাকায় ৩-৪টে ফুচকা পাওয়া যায়। নানা স্বাদের ফুচকা হরেক রকম দামে যে যার পছন্দ মতো খান।
সাধারণ টক-ঝাল ফুচকা ছাড়াও দই ফুচকা, মিঠে চাটনির ফুচকার স্বাদ অনেকেই জানেন। তবে যদি চকলেট ফুচকা খেতে চান তাহলে কলকাতার অদূরে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে বেরিয়ে টোটো করে জ্ঞানমুকুল স্কুলের বিপরীতে পৌঁছাতে হবে। ঠিকানার নাম ‘ফুচকা চাট হাউস’।
এখানে পাবেন আলু ফুচকা ১০ টাকায় ৬ পিস, ঘুগনি ফুচকা ১০ টাকায় ৫ পিস, দই ফুচকা ২০ টাকায় ৫ পিস, চকোলেট ফুচকা ২০ টাকায় ৫ পিস। এর সঙ্গে ৩ রকমের জল (পুদিনা জল, আম জল, তেঁতুল জল) দিয়ে ফুচকা পরিবেশন করা হয়।