ডাল খেতে আমরা অনেকেই ভালবাসি। মাছ-মাংস-ডিম বা আমিষের যে কোনও পদ থাকুক না কেন, অনেকের সঙ্গে ডাল ছাড়া ভাত বা রুটি কিছুই রোচে না।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্নভাবে ডাল রান্না করা হয়। তার স্বাদ এবং তৈরি প্রক্রিয়া আলাদা হলেও, গুনে কিন্তু তা একই। বিভিন্ন রকম ডাল এর বিভিন্ন রকম গুণ রয়েছে। তবে চার রকম ডাল রয়েছে যা খেলে ওজন কমবে। জেনে নিন কীভাবে খাবেন ডাল।
মাসকলাই ডাল শরীরের বল বৃদ্ধি করে শরীরকে সক্রিয় রাখে হজমশক্তি বাড়ায় এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে বলে হজম ভালো হয়। খাবার হিসেবেও এর জুড়ি মেলা ভার।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এই ডাল খেলে হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে ভালো রাখে মাসকলাই ডাল অত্যন্ত উপকারী আরো ভালো থাকলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক থাকে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আমরা অনেকেই জানি না, ডাল অত্যন্ত সুপাচ্য এবং প্রোটিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর একটি দারুণ খাদ্য। যা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রোজ খাওয়া যায়, যার কোনও বিকল্প নেই।
ছোলার ডালে ডালে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এর ফলে দেহ সুস্থ থাকে, কর্মক্ষমতা বাড়াতেও ছোলার ডাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। রান্না করা ছোলার ডাল সারাদিনের প্রয়োজনীয় প্রোটিন এর ৩৩ শতাংশ পূরণ করে দেয়। যাঁরা নিরামিষাশী, তারা অবশ্যই প্রতিদিন ছোলার ডাল রাখুন।
এক কাপ রান্না করা অড়হর ডালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলে হৃদযন্ত্রের জন্য এটি ভাল। রান্না করা অড়হর ডাল সারাদিনের প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করে। ৪১.০৬ শতাংশ প্রোটিন সরবরাহ করে এক কাপ এই ডাল।
তাই যেদিন ছোলার ডাল খেতে ইচ্ছে করবে না, অনায়াসে রাখতে পারেন অরহড় ডাল।অন্যদিকে প্রোটিন ও ফাইবার এর মাত্রা বেশি হলে স্বাস্থ্য থাকবে নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘক্ষন ভরা থাকে ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বন্ধ হয় ফলে নিয়ন্ত্রিত থাকে।
মসুর ডালের রয়েছে ২৬ শতাংশ প্রোটিন। রান্না করা মসুর ডালের প্রোটিন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রয়োজনীয় প্রোটিন এর ৩১ শতাংশ পূর্ণ করে।