love at first sight- অর্থাৎ প্রথম দেখাতেই প্রেম। এই বাক্যটির সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। তবে সত্যিই কি প্রথম দেখাতে প্রেম হওয়া সম্ভব ? সম্প্রতি এই নিয়ে একটা গবেষণা সামনে এসেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, একজন ছেলে ও মেয়ে যখন একে অপরকে প্রথম দেখে তখন তাদের মধ্যে অনুভূতি কাজ করলে তারা ঘামতে শুরু করে। হার্টবিট বেড়ে যায়। এগুলো আসলে প্রেমে পড়ার সংকেত।
ওই গবেষণায় উল্লেখ এর মধ্যে হৃদয়ের কোনও ব্যপার নেই। সবটাই মস্তিষ্কের বিষয়। আসলে প্রথম সাক্ষাতের পর একে অপরের সঙ্গে কথা বলা, চোখে চোখ রাখা ইত্যাদির মাধ্যমে হরমোনাল কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
যত সময় যায়, ততই তা বাড়তে থাকে। আ.র তার ফলেই ঘেমে যাওয়া, লজ্জা পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তবে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা পজিটিভ সাইন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে ওই গবেষণায়।
Nature Human Behaviour- নামে একটি জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে এও বলা হয়েছে, এই অনলাইনের যুগে অনেকে চ্যাট করে প্রেমে পড়েন। কিন্তু, তা ভেঙে যেতেও সময় লাগে না। অথচ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি এই একজন ছেলে ও মেয়ে অনলাইনে না সাক্ষাৎ করে শারীরিকভাবে একে অপরের কাছাকাছি আসে তাহলে সম্পর্ক আরও পজিটিভ হয়।
সামনাসামনি বসে কথা বললে বা দেখা করলে অনেক সুবিধা আছে। যেমন, বিপরীতজন কী কথা বলছেন, কী পোশাক পরে এসেছেন, এসব দেখে তার সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হয়।
শুধু তাই নয়, সেই ধারণাগুলো নিজের যাপন বা চরিত্রের সঙ্গে ম্যাচ করলে সম্পর্ক এগোনার বার্তা পাওয়া যায়। সহজাতভাবেই সদর্থক মনোভাব চলে আসে। এটা আসলে একটি মনোবৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।
ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ১৪২ জন ছেলে-মেয়ের উপর এই পরীক্ষা করা হয়। একজন ছেলের সঙ্গে একজন মেয়েকে বসতে বলা হয়। তারা একে অপরের সঙ্গে বেশ কয়েকমিনিট সময় কাটান। যে কেবিনে যুগলরা বসেছিলেন, সেখানে অটো ট্রেকিং চশমা, হার্ট বিট মাপার যন্ত্র ইত্যাদি বসানো হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা যায়, ১৪২ জনের মধ্যে ১৭ শতাংশ জন একে অপরের সঙ্গে দ্বিতীয়বার সাক্ষাৎ করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন।
গবেষণায় দেখা যায়, যে ১৭ শতাংশ জন একে অপরের সঙ্গে দ্বিতীয়বার দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা যখন একসঙ্গে বসেছিলেন, তখন তাঁদের হার্টবিট, পালস প্রায় একই গতিতে চলছিল। আর একটা সময় পরে তা নিয়ন্ত্রিতও হয়ে যায়।
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রথন সাক্ষাতের পর একজন ছেলে ও একজন মেয়ে একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হবে কি না তার উপর তাদের ভবিষ্যৎও নির্ভর করে। অনেকে প্রথম সাক্ষাতের পরই বুঝে যান, জীবনসঙ্গী পেয়ে গেছেন।