মঙ্গোলিয়া, সেশেল্স, বাহারিনের মতো দেশে বেশিরভাগ মানুষের করোনা টিকরণ হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও করোনার প্রকোপ কমার কোনও লক্ষণ নেই। এখানে চিনের ভ্যাকসিন সিনোভ্যাক-এর উপর ভরসা করে এই টিকরণ করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, এই দেশগুলির প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও গত সপ্তাহে করোনার প্রকোপে থাকা শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে সামিল রয়েছে দেশগুলি।
তথ্য আরও বলছে, চিনের এই ভ্যাকসিন করোনা রুখতে, বিশেষত তার নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ততটা কার্যকর নয়।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট জিন জং ইয়ান বলেন, 'যদি চিনের ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর হয় সে ক্ষেত্রে এমনটা হচ্ছে কেন? চিনের দায়িত্ব এটা সমাধান করা।'
বৈজ্ঞানিকরা আরও জানাচ্ছেন যে, সোশাল ডিস্ট্যানসিং এবং কোভিড প্রোটোকল ঠিক মতো না মানার কারণেও এমনটা হতে পারে।
ইজরায়েলে ফাইজারের ভ্যাকসিন ব্যবহার করার পর প্রতি ১০ লাখে ৪.৯৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। সেখানে সেশেল্সে এই সংখ্যাটি প্রতি ১০ লাখে ৭১৬ জন।
চিন-সহ ৯০টি দেশে চিনের তৈরি ভ্যাকসিন সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক সেখানকার নাগরিকদের দেওয়া হয়েছে। প্রায় সব দেশেই অধিকাংশ মানুষর ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হয়েছে।
তা সত্ত্বেও করোনা রুখতে লকডাউন, টেস্টি এবং সমস্ত কোভিড বিধির পালন করতে হচ্ছে সেখানে। তার ফলে সে সমস্ত দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা।
বিশেষজ্ঞ মহলের মত, করোনার ভ্যাকসিনের আড়ালে সারা বিশ্বে প্রভাবশালী ব্যবসায়িক শক্তি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে চিন।
চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এমন এক ভ্যাকসিন তৈরির সংকল্প করেছইলেন যা সহজে প্রিজার্ভ করা এবং বিভিন্ন দেশে রফতানি করা যেতে পারে।
মঙ্গোলিয়া চিনের উপর ভরসা করে টিকাকরণ শুরু করেছিল। দেশের প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পর কোভিড বিধি মানাতে জোর দেওয়া হয়নি। রবিবার এখানে ২৪০০ জন করোনা পজিটিভ মিলেথে। যা এক মাস আগের সংক্রামিতের তুলনায় ৪ গুণ বেশি।
তবে চিনের বিদেশ মন্ত্রক এ সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে বিবৃতি দিয়েছে, যে সমস্ত দেশে ভ্যাকসিন ব্যবহারের পরেও করোনার প্রকোপ রয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত টিকাকরণ হয়নি। তার সহ্গে কোভিড বিধিও মানা হচ্ছে না। চিনের ভ্যাকসিন ব্যবহারকারী বহু দেশ একে সুরক্ষিত এবং কার্যকর আখ্যা দিয়েছে।