সম্প্রতি একটি গবেষণায় মাছেদের সম্পর্কে একটি অদ্ভুত তথ্য জানা গিয়েছে। যা জানলে চমকে উঠতে হয়। কী সেই তথ্য জানলে আপনিও ভাববেন মাছেরা এত বোকা নয় তাহলে?
এই চমকপ্রদ গবেষণায় যে তথ্য সামনে এসেছে তা হয়রান করে দেওয়ার মতোই বটে। জানা গিয়েছে মাছেরা অঙ্ক কষতে পারে। অর্থাৎ সংখ্যা বা মাত্রা বোধ রয়েছে তাদের। তাদের অনুমান শক্তিও কার্যকর।
কেমন অঙ্ক কষে তারা? মাছেরা নিশ্চয়ই খাতা-কলম নিয়ে বসে অঙ্ক কষে না, তাদের গণিত তাদের মস্তিষ্ক পরিচালনা করে। এখন এই মাছেদের গণিত চর্চা মানুষের কীভাবে কাজে লাগতে পারে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
একটি গবেষণা পত্রে প্রকাশিত হয়েছে যে, এটি ২০০ টিরও বেশি সমীক্ষা করার পর এই সিদ্ধান্ত আসা গিয়েছে। তাতে জানা গিয়েছে মাছেরা ছোটখাটো ক্যালকুলেশন করতে পারে মানুষের মতই।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন-উত্তর তারা নিশ্চয়ই দেয় না, কিন্তু এটা বলা যেতে পারে যে গণিতের সবচেয়ে বুনিয়াদী বিষয় তারা বুঝে নেন। যেমন দুটি পাথরের গর্ত দেখলে তারা বুঝে ফেলতে পারেন, যে কোনটাতে বেশি লুকিয়ে থাকার জায়গা মিলবে।
গবেষণা নিয়ে প্রফেসর জর্জিও ভ্যালোর্টিকারা (Giorgio Vallortigara) জেব্রাফিশ (Zebra Fish) এর মত প্রজাতি বিশেষ করে এই মাত্রা এবং অনুমান করতে পারে। (Sense Of Quantity)।
এর আণবিক এবং আনুবংশিক ভিত্তিতে অধ্যয়ন করতে পারে। যেমন নদীতে বা সমুদ্রে কজন মৎস্যজীবী তাদের ধরতে জাল ফেলেছেন, তা তারা জলের অগভীরে গিয়ে মেপে নিতে পারেন।
তাদের মধ্যে সংখ্যার জ্ঞানকে প্রভাবিত করা ডেভলপমেন্টাল ডিসক্যালকুলিয়ার (Developmental dyscalculia) জন্য অত্যন্ত প্রভাবশালী। যেমন ডেভলপমেন্টাল ডিসক্যালকুলিয়ার কারণে ৬ শতাংশ বাচ্চারা গণিত বুঝতে পারে না।
মাছ ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রাণী নিজেদের গুনতি এবং হিসাব রাখতে পারে। এর মধ্যে মৌমাছি, ভাল্লুক, মুরগি এবং শিম্পাঞ্জির মতো প্রাণী রয়েছে। এরকম কেন এবং কীভাবে করেন এর উপরে জর্জিও দ্বারা জানিয়েছেন যে অ্যানিমেল কিংডমে আলাদা আলাদা জায়গায় বিভিন্ন মাত্রার বোধ হতে পারে। কোনও একটি কমন পূর্বপুরুষ থেকে আসা সম্মিলিত বিকাশের কারণে এটি হতে পারে।
জেব্রা ফিশ নিউরোলজি ল্যাবের জন্য নতুন কিছু নয়। এটি আনুবংশিক গ্রুপে মানুষের সমানই রয়েছে। এ কারণে বায়োমেডিকেল গবেষকদের জন্য পছন্দসই মডেল প্রাণী। এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে, আমরা জেব্রাফিশের মস্তিষ্ককে ভালো করে বুঝতে করা যায়। সঙ্গে আমরা এই বুদ্ধিকে ব্যবহার করে মত রোগের স্টাডি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।