শুক্রবার রাতেই তুষারপাত হয়েছিল। শনিবার বাদ দিয়ে ফের রবিবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে টানা তুষারপাত শুরু হয়েছে। ফলে পর্যটকদের পোয়াবারো। সান্দাকফু থেকে সিকিমের লাচুং, লাচেনে তুষারপাত শুরু হয়েছে।
এই মূহূর্তে যাঁরা দার্জিলিং ও পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছেন। তড়িঘড়ি গাড়ি নিয়ে রওনা দিয়েছেন সান্দাকফুর দিকে। গরমের বরফের জেরে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। ২০০৭ সালের শেষবার ফেব্রুয়ারিতে তুষারপাত হয়েছিল সান্দাকফুতে।
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে যেখানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির আভাস, সেখানে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে এবং সিকিমের এই সমস্ত দৃশ্য যেন প্রাণ মন জুড়িয়ে দিচ্ছে।
সান্দাকফুতে এক ধাক্কায় অনেকটা নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। এই মুহূর্তে শূন্যের নীচে রয়েছে তাপমাত্রা। সাদা চাদরে ঢেকে রয়েছে এলাকা।
তুষারপাত শুরু হয়েছে উত্তর ও পূর্ব সিকিমেও। উত্তর সিকিমের লাচেন, পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু লেক বরফে ঢাকা। ছাঙ্গু লেক পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ছাঙ্গু লেক এবং নাথুলা পাস যাওয়ার আগের ১৫ মাইল রাস্তা পুরু বরফে ঢেকে যাওয়ার ফলে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনওভাবে বিপদে না পড়েন পর্যটকরা।
রবিবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় বরফ পড়েছিল। বিশেষ করে উত্তর সিকিমের লাচুংয়ে তিন-চারদিন ধরেই তুষারপাত হচ্ছে। তবে রবিবার রাত থেকে সান্দাকফু ও পূর্ব সিকিমের তুষারপাত শুরু হয়েছে।
তবে এই তুষারপাত টানা চলবে না বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। মাঝে মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা। বাতাসে এই মুহূর্তে জলীয় বাষ্প রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই তুষারপাত চলছে। জলীয় বাষ্প কমে গেলেই তুষারপাত বন্ধ হয়ে যাবে। তবে মার্চেও তুষারপাত হতে পারে বলে সিকিম আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।