চিনাবাদাম শীতকালে প্রচুর খাওয়া হয় তাই একে শীতের ফলও বলা হয়। এতে উপস্থিত ভিটামিন-ই, ভিটামিন-বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রনের মতো উপাদান শরীরকে শুধু উষ্ণ রাখে না, পুষ্টিও জোগায়। যদিও চিনেবাদামকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি একটি জিনিস বলে মনে করা হয়, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি অতিরিক্ত খেলে শরীরের জন্যও বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
লিভার ড্যামেজ বা জন্ডিস- হেলথলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনেবাদাম শরীরে অ্যাফ্লাটক্সিনের পরিমাণ বাড়ায়, যা একটি ক্ষতিকর উপাদান। ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং চোখ হলুদ হওয়া আফলাটক্সিন বিষক্রিয়ার লক্ষণ, যা লিভারের ক্ষতি বা জন্ডিসের লক্ষণ হতে পারে। Aflatoxin বিষক্রিয়া শুধুমাত্র আপনার লিভারের ক্ষতি করতে পারে তাই নয়, এটি লিভার ক্যান্সারের কারণও হতে পারে।
আর্থ্রাইটিস- আর্থ্রাইটিস রোগীদের চিনেবাদাম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিনাবাদামে উপস্থিত লেকটিনের কারণে এ ধরনের রোগীদের প্রদাহের সমস্যা বেড়ে যায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি এবং বুকজ্বালাও তীব্র করতে পারে।
ফাইটিক অ্যাসিড- ফাইটিক অ্যাসিড নামক একটি উপাদান চিনেবাদামে পাওয়া যায়, যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির মান কমিয়ে দেয়। ফাইটিক অ্যাসিড শরীরে আয়রন ও জিঙ্কের পরিমাণ কমায়। ব্যালেন্স ডায়েট বা নিয়মিত মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু যারা শুধু সব্জি বা বাদাম-বিনসের ওপর নির্ভরশীল, তাদের সমস্যা হতে পারে।
ত্বকের অ্যালার্জি- বেশি চিনেবাদাম খেলে মানুষের ত্বকের সমস্যা হতে পারে। এতে ত্বকে চুলকানি ও ব়্যাশের সমস্যা বাড়তে পারে। মুখে চুলকানি ও মুখে ফুলে যেতে পারে। চিনাবাদাম গরম প্রকৃতির, তাই শুধুমাত্র শীতকালে খাওয়া নিরাপদ।