উইলিয়াম শেক্সপিয়ার বলেছিলেন যে চোখ আমাদের মনের জানালা। তবে এখন একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, চোখ আসলে মস্তিষ্কের জানালা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আপনি কত বুদ্ধিমান তা আপনার চোখ বলে দেয়। চোখের মণি (Pupils) আসলে বলে দেয় এই কথা। চোখের মণি কেবল আলো প্রক্রিয়া করে না, এটি উত্তেজনা, আগ্রহ এবং মানসিক অবসন্নতা সম্পর্কেও জানান দেয়। আমেরিকান তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই অপরাধী কিংবা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে তাঁদের চোখের মণির অবস্থান সম্পর্কে লক্ষ্য রাখেন যে সে মিথ্যা বলছে কিনা। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে চোখের মণি বলে দেয় যে আপনি কতটা বুদ্ধিমান।
জর্জিয়ার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পরিচালিত একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে ছাত্রদের চোখের মণির সঙ্গে মানব বুদ্ধি প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত। পরীক্ষায করে জানা গেছে যেই ছাত্রের মণি যত বড়, সে তত বেশি বুদ্ধিমান। তার যুক্তি, মনোযোগ এবং স্মৃতি আরও শক্তিশালী।
জর্জিয়ার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পরিচালিত একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে ছাত্রদের চোখের মণির সঙ্গে মানব বুদ্ধি প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত। পরীক্ষায করে জানা গেছে যেই ছাত্রের মণি যত বড়, সে তত বেশি বুদ্ধিমান। তার যুক্তি, মনোযোগ এবং স্মৃতি আরও শক্তিশালী।
বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল কাহেনিম্যান দাবি করেছেন যে, তিনি প্রথমবারের এইরকম একটি গবেষণা করেছেন, যেখানে মানুষের চোখ তাঁদের মানসিক ক্ষমতা বলে দেয়। বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার এই পদ্ধতিটি ১৯৬০-৭০ এর সময়কালে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। এরপরে এটি চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং অপরাধের তদন্তেও ব্যবহৃত হতে শুরু করে।
ড্যানিয়েল বলেছিলেন যে, "আমরা এই গবেষণাটি বৃহৎ আকারে করেছি। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৫০০-রও বেশি লোককে অন্তর্ভুক্ত করেছি। এই মানুষগুলি আটলান্টা থেকে এসেছিল। আমরা প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবীর শিক্ষার্থীর চোখের মণির আকার আই ট্র্যাকার দিয়ে মেপেছি। আই ট্র্যাকার এমন একটি ডিভাইস যা একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা এবং কম্পিউটারের সাহায্যে চোখের মণি এবং কর্নিয়া থেকে আলোর প্রতিবিম্বকে পরিমাপ করে। এরপরে, আমরা প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবককে এমন একটি কম্পিউটার স্ক্রিন দেখিয়েছি যার উপরে কিছুই দৃশ্যমান নয়। তাঁদের ৪ মিনিটের জন্য মনিটরের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছিল। এই সময়ে তাঁদের রেকর্ডিং করা হচ্ছিল। এরপরে, আমরা প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবীর মণির গড় আকার নির্ণয় করেছি।
মণির আকার বলতে চোখের মাঝের কালো কেন্দ্রের ব্যাসকে বোঝায়। এটি ২ থেকে ৮ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। মণি উজ্জ্বল আলোতে সংকীর্ণ হয়। সেজন্যে পরীক্ষাগারে আলোকসজ্জা মাঝারি স্তরে রাখা হয়েছিল, যাতে পুরোপুরি চোখ খোলা থাকে।
পরীক্ষার দ্বিতীয় অংশে বিজ্ঞানীরা স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন ধরণের জ্ঞান ভিত্তিক পরীক্ষা নিতে বলেছিলেন। সেখানে তাঁদের সক্রিয় স্মৃতি ক্ষমতা কত? কতক্ষণ কোনও জিনিস মনে রাখতে পারেন? বাধার মাঝে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা কতটা?এই ধরনের পরীক্ষা করা হয়।
এই পরীক্ষার বৃহত্তম বাধা হল অক্ষরগুলি খুব অল্প সময়ের জন্য পর্দায় আসত। সেটিও দ্রুত গতিতে ঘোরাকালীন। ভাল জিনিস হল যে,মানুষের দৃষ্টির সামনে আসলে সেই জিনিসটিকে চিনতে সক্ষম হয় তাঁরা।