Rice and Dal: ভারত বা বাংলাদেশ নয়, ভাত-ডাল আসলে কোন দেশের খাবার?

গরম গরম ভাত-ডাল খেতে কে না ভালোবাসে। প্রতিটি বাঙালি পরিবারেই নিত্যসঙ্গী এক থালা ভাত ও গরম গরম ডাল। অতি সাধারণ এই খাবার সকলেরই খুব প্রিয়।

ভাত-ডালে ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, আয়রন এবং ফোলেটের ভাণ্ডার থাকে। এছাড়াও রয়েছে বি-কমপ্লেক্স।

মুগ, মসুর, অরহর সব ধরনের ডালই উপকারী। ডাল ভাতে রয়েছে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড৷  এই খাবারটি পুষ্টিতে ভরপুর, যেখানে ভাত কার্বোহাইড্রেট এবং কিছু খনিজ সরবরাহ করে, আর ডাল প্রোটিন, ফাইবার এবং অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে।

এছাড়াও ডালে রয়েছে লাইসিন। ভাতে রয়েছে সালফার প্রধান মিথিওনাইন এবং সিস্টেইন৷ যা শরীরের পক্ষে উপকারী। ফলে ডাল-ভাত নিত্যদিনের সঙ্গী হলে শরীরের উপকারই হয়। 

শরীরের জন্য দরকারি অ্যামাইনো অ্যাসিড পেতে হলে ৮০ শতাংশ ভাত ও ২০ শতাংশ ডাল খেতে হবে৷ অধিকাংশ ডায়াটেশিয়ান সাধারণত এই পরামর্শই দিয়ে থাকেন। 

এই খাবার ভারতে আসে উত্তর ভারতের মানুষের হাত ধরে। তবে আসলে ডাল-ভাত ভারতের নিজস্ব উৎপন্ন খাবার নয়। বরং বাঙালির অতি প্রিয় এই খাবার আমদানি করা। শুনলে অবাক হবেন বহু মানুষই।

ভারত নয়, এমনকী বাংলাদেশও নয়। জানেন কি, আসলে নেপালের খাবার ছিল ভাত-ডাল। সেখান থেকেই আমদানি হয়েছে ভারতে। যা এখন প্রতি বাঙালির ঘরে ঘরে প্রতিদিনের সঙ্গী। 

অতি সাধারণ খাবার ডাল ভাত তাহলে ভারতের খাবারই নয়। অনেক ভারতীয়ই কিন্তু তা জানেন না। 

ডাল-ভাত বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবেই চিহ্নিত হয়। এটি এখন বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের মতো দেশগুলোতে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে একটি প্রধান এবং জনপ্রিয় খাদ্য।