আগে সকলেরই প্রথম পছন্দ ছিল সরষের তেল। ঘন, তীব্র গন্ধযুক্ত এই তেল চুলের জন্যও বেশ ভাল। মাথার ত্বকে মাসাজ করলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। তবে রান্নাঘরে পাওয়া অন্যান্য গৃহস্থালীর জিনিসপত্রের সঙ্গে মিশিয়ে মাসাজ করলে সরিষের তেল আরও কার্যকর হয়।
এমন পাঁচটি কার্যকর প্রতিকারের কথা বলব, যা আপনার দুর্বল চুলকে শক্তিশালী করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
তীব্র গন্ধ থাকা সত্ত্বেও, পেঁয়াজ চুলের জন্য দারুণ কাজ করে। এতে সালফার থাকে যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং চুলের ফলিকল সক্রিয় করে।
সমান পরিমাণে পেঁয়াজের রস এবং উষ্ণ সরষের তেল মিশিয়ে মাথায় লাগান এবং ৩০-৪০ মিনিটের জন্য রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে নতুন চুল গজাতে শুরু করবে।
মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড থাকে, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। মেথি বীজ সারারাত ভিজিয়ে রেখে পেস্ট তৈরি করে সরষের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান। ৪৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক চুলকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া কমায়।
সরষের তেল উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে অ্যালোভেরা ঠান্ডা করে। একসঙ্গে, মেশালে মাথার ত্বকের প্রদাহ কমে, খুশকি দূর করে এবং নতুন চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। অ্যালোভেরা জেল সরষের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং ৩০ মিনিট ধরে লাগান।
কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুল পাকা কমায়। সরষের তেলে কারি পাতা ভেজে নিন, তেল বের করে সপ্তাহে দুবার ম্যাসাজ করুন। এতে চুলের শরীর মজবুত হবে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।
জবা ফুল এবং পাতা কেরাটিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা চুলকে ঘন এবং শক্তিশালী করে। এগুলি পিষে সরষের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান এবং ৪০-৪৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।