যেকোনও দৃঢ় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌন জীবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত, যৌনতা সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্কই বোঝে। শারীরিকভাবে কাছাকাছি আসলেই তাকে মধুর যৌন মিলন বলে আখ্যা দেয়। একটি নতুন গবেষণা অনুযায়ী, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা এমন একটি বিষয় যা শরীরের চেয়ে মানসিকভাবে বেশি জড়িত। কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মনোবিজ্ঞানী এবং সেক্স থেরাপিস্ট পেগি জে. ক্লেইনপ্ল্যাটজ এই গবেষণাটি করেছেন। গবেষণা অনুযায়ী-
বর্তমান সময়ে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় ব্যয় করছে। শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময়ে বা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শারীরিকভাবে সঙ্গীর সঙ্গে থাকলেও মন তাদের অন্য কোথাও। শারীরিক সম্পর্ক করার সময় সঙ্গীর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জুড়ে থাকা উচিত। দু'জনের দু'জনকে অনুভব করা উচিত।
অনেকের যৌন জীবনে একই প্যাটার্ন অনুসরণ করে যায়। এটি করতেই হবে এবং এটি করতে হবে না, এধরনের নিয়ম মানে। অনেকে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাকে সরাসরি ইন্টারকোর্স হিসাবে মনে করে, যদিও এছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রপয়েছে। চুম্বন, ফোরপ্লে, যৌন কথাবার্তা এবং সঙ্গীকে স্পর্শ করার মতো বিষয়গুলি ভুলে চলবে না। এটি আপনাকে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে তা বুঝতে সহায়তা করে।
সম্পর্কের শুরু থেকেই যৌনতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলে জিনিসগুলিকে সহজ করে তুলুন। একে অপরের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ভাগ করে নিন, ভাল এবং খারাপ জিনিসগুলি জেনে নিন। আপনার পার্টনারের সঙ্গে যৌন মিলনের সময় কী চান সে সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা থাকবে। যৌনতাকে গুরুত্ব সহকারে না নিয়ে, এটিকে একটু মজা হিসাবে নিন এবং একে অন্য সবকিছুর মতো অগ্রাধিকার দিন।
অনেকের যৌন কল্পনা সম্পর্কে ভয় থাকে। তাদের সঙ্গী ভুল বুঝতে পারে বা তার ইচ্ছাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে এমনটা ভাবেন। গবেষকদের মতে, আপনি যদি যৌনতার গভীরতা বুঝতে চান, তাহলে আপনাকে আত্ম-সচেতনতা বাড়াতে হবে।