scorecardresearch
 
Advertisement
লাইফস্টাইল

Sidharth Shukla death: হৃদরোগ কেড়ে নিল সিদ্ধার্থকে,কেন তরুণরা এই রোগের শিকার হচ্ছেন?

heart attack
  • 1/11

অভিনেতা এবং বিগ বস ১৩  বিজয়ী সিদ্ধার্থ শুক্লা বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ৪০ বছর বয়সী সিদ্ধার্থের মৃত্যুতে সবাই হতবাক। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিদ্ধার্থের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কুপার হাসপাতাল। সিদ্ধার্থ একদম ফিট ছিলেন এবং তার আগে হার্ট সংক্রান্ত কোনো রোগ ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে সিদ্ধার্থের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে সবাই হতবাক। সাধারণত একটা বয়সের পর মানুষের মধ্যে হার্ট-সংক্রান্ত রোগ দেখা যায়, কিন্তু গত এক বছরে হার্ট অ্যাটাকের কারণে তরুণদের মৃত্যু দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। আসুন জেনে নিই কি কি প্রধান কারণ যা তারুণদের হৃদরোগ সংক্রান্ত রোগের জন্য দায়ি।

heart attack
  • 2/11


নেশা - আজকাল বেশিরভাগ যুবকরা ১৮  থেকে 2২৫  বছর বয়সে ধূমপান এবং অ্যালকোহল গ্রহণ শুরু করেন। চিকিৎসকদের মতে, যুবকদের এই অভ্যাস তাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের শিকার করে তুলছে। প্রকৃতপক্ষে, কার্ডিওভাসকুলার হৃদরোগ একটি মারাত্মক সমস্যা, যা অনেক ধরনের হৃদরোগের কারণ হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে ১০ টি সিগারেট খাওয়া যুবকদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করে।
 

heart attack
  • 3/11

জাঙ্ক ফুড- তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশই তাদের খিদে মেটানোর জন্য বাড়ির খাবারের পরিবর্তে জাঙ্ক ফুডের উপর নির্ভর করেন। তার তাদের প্লেটে  বেশিরভাগ ভাজা-ভুজি  এবং  চাইনিজ খাবার থাকে। যার কারণে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়, যা হার্টের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ভুল খাবার খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, যা দ্রুত হার্টবিট বাড়ানোর কাজ করে।
 

Advertisement
heart attack
  • 4/11

কাজের চাপ- ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে তরুণ সমাজ আজকাল তাদের খাবার স্কিপ করছে। ক্ষুধার্ত হলে, তারা বাইরে পাওয়া জাঙ্ক ফুডের উপর নির্ভর করছে। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া সরাসরি রক্তনালীগুলিকে প্রভাবিত করে। এই কারণেই অল্প বয়সে তরুণরা ব্লাড প্রেশারের শিকার হচ্ছে।
 

heart attack
  • 5/11

স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-  তরুণদের মধ্যে  বলিউড সেলিব্রেটিদের ক্রেজ এতটাই বেশি যে তারা তাদের মতো শরীর গড়তে ঘন্টার পর ঘন্টা জিমে থাকেন। গা ঘামানো  ঠিক আছে, কিন্তু অনেক জায়গায়, যুবকদের জিমে ভারী নিউট্রিশন গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। নিউট্রিশনের চক্করে  তরুণরা এমবোলিক স্টেরয়েডের মতো প্রডাক্ট  ব্যবহার শুরু করে। যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে যায়।
 

heart attack
  • 6/11

মানসিক চাপ-  আজকাল তরুণরা কাজের কারণে খুব মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। অতিরিক্ত মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলও উদ্বেগজনিত রোগের কারণে বৃদ্ধি পায়। এ কারণে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। কিছু লোক স্ট্রেস কমাতে ধূমপান শুরু করে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে।
 

heart attack
  • 7/11

সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যুতে অভিনেতা সমীর সোনির একটি পোস্টও ভাইরাল হয়েছে। তিনি লিখেছেন যে চাপের মাত্রা বাড়ার কারণে তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক / আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। তরুণদের মধ্যে ভালো এবং ফিট থাকার জন্য চাপ রয়েছে। এই ইন্ডাস্ট্রি  বাইরে থেকে ভাল দেখায় কিন্তু ভিতর থেকে তা নয়। নিজেকে মানসিকভাবে স্থিতিশীল রাখতে হবে। বিশেষ করে অভিনেতাদের  ভালো যাতে দেখতে লাগে  তার  জন্য অনেক চাপ আছে,  অন্যথায় কাজ না পাওয়ার চাপ আছে। সিক্স প্যাক এবং ভালো দেহের আকাঙ্ক্ষা এই বিপদ যোগ করছে। সবাই চাপে আছে। ক্যারেক্টারের  জন্য ওজন হ্রাস এবং বাড়ানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে।

Advertisement
heart attack
  • 8/11

পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া- ঘুমের সাথে হৃদয়ের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট সুস্থ রাখতে ৭-৮  ঘণ্টা ঘুমান  খুবই জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের কম ঘুমালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২৪  শতাংশ বেড়ে যায়। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, যারা পর্যাপ্ত ঘুমান  না তাদের মধ্যেও ডিপ্রেশন  বেশি পাওয়া যায়।
 

heart attack
  • 9/11


হাই ব্লাড প্রেশার- উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সবসময় থেকে যায়। অত্যধিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের কারণও। । উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ হাইপারটেনশেন  ধমনীর  সাথে সম্পর্কিত। এই ধমনীগুলি শরীরে রক্ত ​​চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। যখন এটি পাতলা হয়ে যায়, এটি রক্তচাপ বাড়ায়। চিকিৎসকরা বলছেন, যদি এই রক্ত ​​ধমনীর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো মারাত্মক জটিলতা দেখা যায়।

heart attack
  • 10/11

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ - হার্ট অ্যাটাক ঘটার  জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। একজন ব্যক্তি যে কোনো সময় এই রোগের কবলে পড়তে পারেন। এই সত্ত্বেও, হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে, এমন অনেক লক্ষণ রয়েছে যা ব্যক্তিকে সতর্ক করে যে আপনি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন। চরম ক্লান্তি, অনিদ্রা, শ্বাস নিতে অসুবিধা, বুকে অস্বস্তি, টক টক লাগা, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন এবং পা ও গোড়ালি ফুলে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ।

heart attack
  • 11/11

এভাবে প্রতিরোধ করুন-  যুবকরা ব্যায়াম করে এই গুরুতর রোগকে দূরে রাখতে পারেন। চিকিৎসকদের মতে, আজকের স্ট্রেসফুল লাইফস্টাইলের কারণে তরুণ প্রজন্ম প্রতিদিন ব্যায়াম করে রক্ত ​​চলাচল ঠিক রাখতে পারে। এ ছাড়াও খাদ্যতালিকায় প্রচুর ফল ও শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। সুস্থ হৃদয়ের জন্য কম চর্বিযুক্ত খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করুন। জাঙ্ক ফুড খাওয়া কমিয়ে দিন এবং সময়মত খাবার খান।

Advertisement