বর্ষার মরশুমে (Rainy Season) বিভিন্ন কারণে খারাপ হতে পারে শরীর। এই মরশুমে অনেক সময়ই ওষুধও শরীরে ঠিক মতো কাজ দেয় না। অনেকে আবার এই সময় স্বাস্থ্যকর মনে করে বিভিন্ন ধরনের খাবার খান। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই খাবারগুলি শরীরে জ্বর ও সর্দিকাশির (Flu Cold And Cough) উবসর্গকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
স্ট্রবেরি - সাধারণত স্ট্রবেরি খুব ভাল খাবার হিসেবেই পরিগণিত হয়। তবে বেশিমাত্রায় স্ট্রবেরি খেলে জমাট বাঁধতে পারে রক্ত। ফলে বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মা নাক এবং সাইনাসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই জ্বর বা ঠাণ্ডা লেগে থাকলে স্ট্রবেরি একেবারেই খাবেন না।
টক ফল - যে সমস্ত ফলে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে, অর্থাৎ টক ফল খেলে গলার সমস্যা বড়তে পারে। অর্থাৎ গলা ধরা, বা কাশির মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। পরিবর্তে আনারস, ন্যাশপাতি বা তরমুজ খাওয়া ভাল।
দুধ ও দই - জ্বর সর্দি হলে দুধ দইয়ের মতো খাবারগুলিও এড়িয় চলা উচিত। কারণ এগুলি খেলে শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা এবং গলাজ্বালার মতো সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বর্ষার মরশুমে কাশি বা বুকে শ্লেষ্মা অনুভব করলেই এই ধরনের খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিন।
পেঁপে - এমনিতে পেঁপে খুবই উপকারী ফল। তবে সর্দিকাশি থাকলে এটি না খাওয়াই উচিত। কারণ এর থেকে হিস্টামিন উপাদান বের হয় তা অনুনাসিক অংশে সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। ফলে শ্বাসের কষ্ট শুরু হয়। তাই সর্দি না সারা পর্যন্ত পেঁপে খাওয়া ঠিক নয়।
কলা - এই ফল শরীরে দ্রুত এনার্জি তৈরি করে। তবে অন্যদিকে জ্বর সর্দি চলাকালীন কলা খেলে তা বেড়ে যেতে পারে। এমনকী কোনও কোনও চিকিৎসকও জ্বর সর্দিকাশিতে কলা খেতে নিষেধ করেন।
আখরোট - সর্দিকাশির মধ্যে এই শুকনো ফল খেলে গলা ব্যাথা বাড়তে পারে। তাছাড়া এতে হিস্টামাইনের মাত্রাও বেশি থাকে। তাই ঠাণ্ডা লাগলে বা জ্বর হলে আখরোট এড়িয়ে চলুন।
চর্বিযুক্ত খাবার - বর্ষাকালে চর্বিযুক্ত খাবার খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকেরা। তাই এই সময় রেডমিট বা ম্যাকেরেল, সার্ডিনের মতো মাছ এবং অ্যাভোকাডোর মতো ফল থেকে দূরে থাকাই উচিত। কারণ এই মরশুমে হজমশক্তি এমনিতেই কমে যা, আর বেশি চর্বিযুক্ত খাবার সেই ক্ষমতাকে আরও কমিয়ে দেয়।
চ ও কফি - জ্বর সর্দিকাশি হলে অনেকেই বেশি করে চা-কফি খেতে শুরু করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এই সময় তা কতটা ক্ষতিকারক। আসলে কফিতে উপস্থিত ক্যাফিন নামক উপকরণ শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। কারণ শরীরে ক্যাফিন প্রবেশ করলেই মানুষের বারেবারে প্রস্রাব পেতে থাকে। ফলে শরীরের জলের অভাব দেখা দেয়। ফলে পেশিতে ব্যাথা এবং বমির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শুকনো খোবানি -বিশেষজ্ঞরা বলেন শুকনো খোবানির হিস্টামাইন মাত্রাও যথেষ্ট বেশি। ফলে শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যাথা বাড়ে। তাই জ্বর সর্দিকাশিতে এটি খাওয়া উচিত নয়।