শিরোনামে ভার্জিনিটি। কারণ, অনেক যুবতীই ভার্জিনিটি ফিরে পেতে অস্ত্রোপচার করাচ্ছেন। যা বেআইনি ও ক্ষতিকারক। এই ঘটনা সামনে এনেছেন ব্রিটেনের এক চিকিৎসক। তাঁর দাবি, ভার্জিনিটি ফিরে পেতে মহিলাদের ভুয়ো অস্ত্রোপচার করাচ্ছেন একদল চিকিৎসক।
Royal College of Obstetricians and Gynaecologists-এর তরফে এই ভুয়ো অস্ত্রোপচার বন্ধ করার দাবিতে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত মাসে ব্রিটেনের সংসদে মেয়েদের ভার্জিনিটির অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সংসদীয় কমিটি এই অস্ত্রোপচারে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব দেয়।
চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, সরকার এই অস্ত্রোপচারে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা বলছে। অথচ হাসপাতালগুলিতে রমরমিয়ে চলছে অস্ত্রোপচার। এই দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না। সরকারের এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করা দরকার।
ব্রিটেনের যুবতীদের একাংশ ভার্জিনিটি ফিরে পাওয়ার জন্য হাইমনোপ্লাস্টি নামে একটি সার্জারি করছে। এই সার্জারিতে শরীরের অন্য জায়গা থেকে চামড়া নিয়ে ভ্যাজাইনাতে লাগানো হয়। অনেকটা প্লাস্টিক সার্জারির মতো।
কতজন মহিলা এই অস্ত্রোপচার করেছেন? ২০২০ সালে এই নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় সান্ডে টাইমস। তারা দেখায় প্রায় ২২টি বেসরকারি হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার চলছে। আর একবছরে নাকি প্রায় ৯০০০ জন এই অস্ত্রোপচার করিয়েছেন।
এই সমীক্ষা সামনে আসার পর ব্রিটেনে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। Royal College of Obstetricians and Gynaecologist সাফ জানিয়ে দেয়, যদি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা না যায়, তাহলে এই ভার্জিনিটি টেস্টে বন্ধ করানোর যে প্রক্রিয়া সরকার শুরু করেছে তা ভিত্তিহীন হয়ে পড়বে।
এই প্রসঙ্গে অনেকেই ভেবে থাকেন, ভার্জিনিটি যে শুধুমাত্র যৌনতায় লিপ্ত হলেও ভেঙে যায় এমনটি নয়। অধিক শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম, সাইকেল, সাঁতারের ফলেও হতে পারে সতীচ্ছেদ।