বেশিরভাগ মানুষের দিন শুরু হয় চা দিয়ে। তারপর সকালের ব্রেকফাস্টে (breakfast) কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চায়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন দিনের প্রথম খাবার সবসময় ভারী হওয়া উচিত। যারা আমিষভোজী, তারা প্রায়ই ব্রেকফাস্ট-এ পাউরুটি দিয়ে অমলেট বা সেদ্ধ ডিম (Egg) খান।
যারা প্রতিদিন ডিম খান, তারা কাঁচা ডিম অনেকগুলি একসঙ্গে কিনে এনে রেখে দেন, যাতে প্রতিদিন আনার প্রয়োজন না হয়। অনেকে ডিম এনে ফ্রিজে রাখেন। তারা হয়তো কোনও দিন ভাবেননি ডিম ফ্রিজে রাখা ঠিক কী না?
সম্প্রতি ব্রিটিশ সেলিব্রিটি শেফ জেমস মার্টিন একটি শো'তে জানিয়েছেন ফ্রিজে ডিম রাখা ঠিক নয় স্বাস্থ্যকর নয়। কেন নয়? আপনিও যদি এই কাজটি করে থাকেন, তাহলে জেনে নিন ডিম ফ্রিজে রাখার অপকারগুলি।
সেলিব্রিটি শেফ জেমস মার্টিন 'দিস মর্নিং কিচেন' শো'তে যোগ দিয়েছিলেন এবং এই শো'তে তিনি বলেন ডিম কখনই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
তাঁর বক্তব্য, ডিমের চামড়ায় অনেক ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। এগুলি ফ্রিজে রাখলে ফ্রিজে রাখা বাকি খাবার এর গন্ধ ও স্বাদ শুষে নেয়, যে কারণে ডিমের স্বাদ সম্পূর্ণ বদলে যায়। তিনি আরও বলেন, ডিমের আসল স্বাদ উপভোগ করতে চাইলে কখনও ভুলেও ডিম ফ্রিজে রাখবেন না।
অন্যদিকে বাইরে রাখা ডিম এবং ফ্রিজে রাখা ডিম থেকে একইভাবে রান্না করলে দু'টি রান্নার মধ্যে ফারাক দেখতে পাবেন, এর স্বাদও আলাদা হবে। তাই ডিম সবসময় রেফ্রিজারেটরের বাইরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন।
ডিম রান্না করার আগে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। অনেকেই বাজার থেকে ডিম এনে সরাসরি রান্না করে নেন। যে কারণে ডিমের বর্জ্য পদার্থ রান্নায় চলে যায়, বা সেদ্ধ করলে তার মধ্যে চলে যায়। এরপর ডিমের খোসা ছাড়ালে সেই বর্জ্য পদার্থগুলো জলের মাধ্যমে ডিমের সঙ্গে লেগে যায়। অথবা যদি আপনি কাঁচা ডিম ব্যবহার করেন, তাহলে ডিম ভাঙার সময় ডিমের খোসায় থাকা জীবাণু ডিমের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। তাই ডিম ব্যবহারের আগে সবসময় হালকা হাতে গরম বা ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। এর কারণ হল, ডিম খুবই পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য, এতে অনেক শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। যেমন, ডিম পুষ্টিতে ভরপুর, কোলেস্টেরল বাড়ায়, প্রোটিনের খুব ভালো উৎস, হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমায়, চোখের জন্য ভালো, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, অ্যামাইনো অ্যাসিড দেয়, ওজন কমায় ইত্যাদি।