কেটে গেলে, ছড়ে গেলে বা আগুনে পুড়ে গেলে আমরা বাড়িতেই চিকিৎসা করি। ব্যান্ড এড, ডেটল, সুদল ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে থাকি আমরা। কিন্তু, এমন অনেকেই আছেন যাঁরা এসব ব্যবহার না করে এমন সব জিনিসের সাহায্য নেন যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
নাক থেকে রক্ত পড়লে : অ্যালার্জি হলে বা অত্যাধিক গরমের কারণে অনেকের নাক থেকে প্রচুর রক্তপাত শুরু হয়। অনেকেই পরামর্শ দেন, নাক থেকে রক্ত পড়লে শুয়ে পড়তে। কিন্তু, এই পদ্ধতি একেবারেই ভুল।
কারণ, এতে নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে না। আবার শোওয়ার কারণে নাকের রক্ত গলায় চলে যাবে। সেজন্য আপনি কোনও তুকতাকে বিশ্বাস না করে বরং ডাক্তারের কাছে যান। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার নিজে থেকেই নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
চোখ রগড়ানো : অনেক সময় এমন হয় যে, চোখে কিছু পড়লে আমরা রগড়াতে শুরু করি। কিন্তু, এটা করাও ঠিক নয়। এতে চোখের আরও ক্ষতি হতে পারে। বরং, চোখে ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিন।
আহত ব্যক্তিকে হাঁটানো : কারও হাতে-পায়ে ব্যথা হলে বা চোট হলে তাঁকে হাঁটাচলা করাতে চান অনেকেই। এরকম কখনও করবেন না। কারণ, সেই ব্যক্তির চোট কতখানি তা না জেনেই আপনি তাঁকে হাঁটার পরামর্শ দেন। এতে সেই ব্যক্তির স্পাইনাল কর্ডও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পুড়ে যাওয়া জায়গায় বরফ : পুড় যাওয়া জায়গায় অনেকেই বরফ লাগান। এটা করা একেবারেই ঠিক নয়। অনেকে আবার টুথপেস্টও লাগান। সেটাও অনুচিত। কারণ, এসব করলে আপনার চামড়া,র আরও ক্ষতি হতে পারে। বরং, সামান্য ঠাণ্ডা জল ক্ষতস্থানে দিতে পারেন। তারপর ডাক্তার দেখান।
ক্ষত জায়গায় থুথু দেওয়া : ক্ষত জায়গায় থুথু দিতে প্রায় সবাইকে আকছার দেখা যায়। এক্ষেত্রে ধারণা হল, থুথু দিলে ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাবে ও ইনফেকশন হবে না। ডাক্তারদের দাবি, এই ধারণা ভুল। থুথু দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বাড়তে পারে ইনফেকশনও।