ধূমপান, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার, ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ বা স্থূলতা হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। (সব ছবি প্রতীকী)
ঘুমের অভাবের জেরেও হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে। দিনভর ক্লান্তির পর যদি আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না পান তাহলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা রাতে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর চেয়ে দ্বিগুণ। ঘুমের অভাব রক্তচাপ সমস্যা বাড়ায়।
মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে স্ট্রোক, বুকে ব্যথা এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদি কারও হৃদরোগ এবং মাইগ্রেন হয়, তাহলে তাদের মাইগ্রেনে ব্যবহৃত ওষুধ ত্রিপটান গ্রহণ করা উচিত নয় কারণ এটি রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করে। এ বিষয়ে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া দরকার।
কফি- অ্যালকোহলের মতো, কফিরও এর সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এতে থাকা ক্যাফিন অল্প সময়ের জন্য আপনার রক্তচাপ বাড়ায় এবং এর কারণে একজন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা দিনে দুই বা তিন কাপ কফি পান করেন তাদের কোনো ঝুঁকি নেই।
কোল্ড ফ্লু - ২০১৮ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, ফ্লু হওয়ার এক সপ্তাহ পর মানুষের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা ছয় গুণ বেশি। এর সঠিক কারণ জানা যায়নি, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
যৌনতা - যেকোনো ব্যায়ামের মতো, যৌন কার্যকলাপও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। বেশিরভাগ মানুষের জন্য যৌনতা গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিত। এটা জীবনের অংশ। কিন্তু যদি আপনার হার্ট সংক্রান্ত কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে একবার কথা বলা উচিত।
ব্যায়াম- ব্যায়াম আমাদের হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। কিন্তু খুব বেশি ব্যায়াম করলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রায়৬ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক চরম স্তরের শারীরিক কসরতের কারণে হয়।