শিশুদের হাড়ের রোগ তাদের শক্তি, বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যে শিশুদের হাড় ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় এবং আকার নেয়। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের রোগবাড়তে থাকে।
শৈশবে জেনেটিক্স বা অন্য কোনো কারণে শিশুরা হাড়ের ব্যাধির শিকার হতে পারে। অতএব, শিশুদের হাড় এবং জয়েন্ট ঠিক আছে কিনা তা নিয়ে বাবা -মাকে সচেতন হতে হবে।
প্রতি বছর ১৯ অক্টোবর বিশ্ব শিশু হাড় ও যুগ্ম দিবস পালিত হয়। জেনে নিন আপনার শিশুর পায়ের হাড় ঠিক আছে কিনা বুঝবেন কীভাবে?
পায়ের আঙুল ভিতরের দিকে ভাঁজ হয়ে যাবে- যখন শিশুরা হাঁটা শুরু করে, তখন অনেক সময় তাদের পায়ের আঙ্গুলগুলি ভিতরের দিকে বাঁকানো হয়। চিকিৎসকদের ভাষায় একে বলা হয় ইন-টুইং। এটি পায়ের আঙুল বা নিতম্বের হাড় সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে। এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কিছু নেই, কিন্তু এমন অবস্থায় একবার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
হাঁটুতে সমস্যা- শৈশবে অনেক শিশুর পা বাইরের দিকে বাঁকানো থাকে। সাত বছর বয়সে, তাদের পা হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত একসঙ্গে লেগে যায় এবং শরীরের নীচের দিকটি খারাপ দেখায়। এরকম দেখা দিলে অভিভাবকদের একেবারে শুরুতেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
মেরুদণ্ডে বক্রতা- মেরুদণ্ডে অস্বাভাবিকভাবে বেঁকে থাকলে তা চিন্তার কারণ। চিকিৎসকের ভাষায় এই সমস্যাকে স্কোলিওসিস বলা হয়। বাচ্চার পিছনে বা কোমরের দিকে এই ধরনের সমস্যা দেখা মাত্রই আমাদের অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।
পা সোজা হয়ে যাওয়া - পা সোজা হয়ে যাওয়া এমন একটি সমস্যা যা খুব ছোট মনে হয় এবং পায়ের কার্যক্রমে কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না। কিন্তু পা সোজা হয়ে গেলে পরে সমস্যা বাড়তে পারে। বেশিরভাগ শিশু সোজা পা দিয়ে জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু ৩ বছর বয়সের পর, তাদের পায়ের তলার ভাঁজগুলি তৈরি হতে শুরু করে, যা ১০ বছর বয়সের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হয়।
এসবের থেকে মুক্তি পেতে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করা খুব জরুরি। যদি শিশুর বয়স ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে হয়, তাহলে তার প্রায় ৬০ মিনিটের জন্য প্রতিদিন কিছু কার্যকলাপে অংশ নেওয়া উচিত। বয়স যদি ৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে হয়, তাহলে তাদের দৈনিক ৬০ মিনিট বা সপ্তাহে ৫ দিন ক্লাইম্বিং বা পুশআপের মতো শক্তিশালী করার ব্যায়াম করা উচিত। ক্যালসিয়াম শিশুদের হাড় মজবুত করতে কাজ করে। দুগ্ধজাত পণ্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। বাচ্চাদের কোলা-সোডা থেকে দূরে রাখুন। সোডা বা কার্বনেটেড পানীয়ের অতিরিক্ত ব্যবহার হাড়কে দুর্বল করে দিতে পারে।