কৌটিল্য ও বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত চাণক্য। চাণক্য অত্যন্ত জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। যার নীতি এখনও মেনে চললে লাভবান হওয়া যায়। চাণক্যনীতিতে জীবনসঙ্গী নির্বাচন নিয়েও রয়েছে নানা কথা। চাণক্য নীতি অনুসারে নারীর নির্দিষ্ট গুণাবলী রয়েছে। এমন কয়েকটি গুণ যা স্বামী ও পরিবারের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসে। এই ধরনের নারীর পা ঘরে পড়লে থাকে সুখ ও সৌভাগ্য।
চাণক্য নীতি আজও জনপ্রিয়। কারণ চাণক্যর বলা কথাগুলো মেনে চললে জীবনে সাফল্যলাভ সম্ভব। জীবনসঙ্গী নির্বাচনে অনেকেই দ্বন্দ্বে পড়েন। সেই দ্বন্দ্বও কাটিয়ে দিয়েছেন চাণক্য। সুযোগ্যা পাত্রী কেমন তা বাতলে দিয়েছেন কূটনীতিবিদ। চাণক্যর মতে তিন ধরনের মহিলা রয়েছেন।
ধার্মিক মহিলা- ধর্মীয় কাজে আগ্রহী নারী পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে দক্ষ বলে বিবেচিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে যাঁরা ধর্মীয় কাজ করেন তাঁরা খারাপ কাজ করতে ভয় পান। যে মহিলা ধর্ম অনুসরণ করেন তিনি জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতিতে সাফল্য অর্জন করেন। সেই সঙ্গে নিয়ম-কানুন মেনে পুজো করলে ঘরে সুখ ও সৌভাগ্য থাকে।
সংস্কৃতিমনা নারী- বাহ্যিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ভিতরের সৌন্দর্যও গুরুত্বপূর্ণ। জীবনযাপনের ধরন ও আচার-ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন সংস্কৃতিবান মহিলা সবসময় বড়দের সম্মান করেন। তাঁদের যত্নও নেন।
সহচরী- চাণক্যের মতে, এই ধরনের মহিলা পরিবার এবং স্বামীকে সব ধরনের পরিস্থিতিতে সমর্থন করেন। জীবনকে মধুর করে তুলতে পারেন তাঁরা। অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বামীর পাশে থাকেন। একজন গুণী নারী প্রতিটি কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর পরিবার এবং স্বামীকে সমর্থন করেন। এর পাশাপাশি ভারসাম্য বজায় রাখেন। এই ধরনের মহিলাকে পাওয়া সৌভাগ্যের।