সবাই সুখী জীবনযাপন করতে চায়। চাণক্য মানুষের সুখী জীবনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। আপনি তাঁর বই চাণক্য নীতির মাধ্যমে একটি ভাল জীবনযাপন করতে পারেন। চাণক্য নীতি মূলত সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়েছিল। আচার্য চাণক্য নীতিশাস্ত্রে ধর্ম, অর্থ, কর্ম, মোক্ষ, পরিবার, সমাজ এবং আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন। চাণক্য নীতি অনুসারে, এই সমস্ত নিয়ম বর্তমান সময়েও প্রাসঙ্গিক। নিজের স্ত্রীর প্রতি কেন একজন পুরুষের মোহভঙ্গ হয় এবং কে পুরুষ অন্য একজন মহিলার দ্বারা সম্মোহিত হয়, এর কারণ রয়েছে চাণক্য নীতিতে।
কারণগুলো জেনে নিন
বিয়ের পর একজন পুরুষ বা নারীর অন্য কারও প্রতি আকর্ষণ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন এই আকর্ষণ প্রশংসার বাইরে চলে যায় এবং তাঁদের মধ্যে একটি সম্পর্ক ফুটে ওঠে, তখন এটি একটি ভুল হিসাবে বিবেচিত হয়। এই সম্পর্ক আমাদের সমাজে অনেকাংশে এখনও গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের নতুন সম্পর্ক পুরনো প্রেমের সম্পর্ক ও বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সম্ভাবনা রাখে। আসুন জেনে নিই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া নিয়ে আচার্য চাণক্য কী বলেছেন।
কথায় মাধুর্যের অভাব
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কের তিক্ততার অন্যতম প্রধান কারণ হল কথাবার্তায় মাধুর্য নষ্ট হয়ে যাওয়া। এমন অবস্থায় ঘরের নারী হোক বা পুরুষ, সে ঘরের বাইরে মাধুর্য খুঁজতে থাকে। তারপর পুরুষটি অন্য মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করে। বৈবাহিক সম্পর্কের অন্যান্য আনন্দের পাশাপাশি, মানসিক সুখও গুরুত্বপূর্ণ, যার অভাব সম্পর্ক ভাঙার দিকে নিয়ে যায়।
আকর্ষণের অভাব
যখন স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি মনোযোগ দেয় না, তখন পুরুষটি তার মন অন্য মহিলার মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যখন দম্পতিরা পূর্ণ সময় দেয় না বা একে অপরের ভুলই ধরতে থাকে, তখন সম্পর্কটি আলাদা হতে শুরু করে। এমন অবস্থায় স্ত্রীর পরিবর্তে স্বামী অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়।
বিশ্বাসের অভাব
বিয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি হল বিশ্বাস। নারী এই আস্থা ভাঙলে পুরুষ আর পুরুষ এই ভরসা ভাঙলে নারী ঘরের বাইরে সম্পর্ক খুঁজতে থাকে। তাই তাদের প্রয়োজনেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বিবেচনা করা হয়।
বাচ্চা
দাম্পত্য জীবনে সন্তান জন্মের পর মাঝে মাঝে সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটে। নারী-পুরুষ একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে না। এই ধরনের ক্ষেত্রে পুরুষরা বাড়ির বাইরে অন্য মহিলাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে শুরু হয় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক।