জীবনসঙ্গী থাকাটা সবার জন্যই খুব জরুরি। যে কোনও পরিস্থিতিতে আপনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবেন জীবনসঙ্গী। তাহলে আপনার জীবন সুন্দরভাবে চলবে। একা থাকা কষ্টকর হতে পারে। তবে চাণক্য বলছেন, জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্র গ্রন্থে বিবাহিত জীবন সম্পর্কে অনেক ধারণা শেয়ার করেছেন। চাণক্য বলেছেন, বিয়ের আগে আমাদের জন্য সঠিক জীবনসঙ্গী কে তা জানা জরুরি। বিয়ের ব্যাপারে চিন্তাশীল হোন। তাড়াহুড়ো করবেন না। কারও মতামতে তাড়াহুড়ো করে বিয়ে করলেও ভবিষ্যতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতানৈক্যের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চাণক্য বলেন, জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।
ধৈর্য
সবার জীবনে পরিস্থিতি এবং সময় এক নয়। এটি সময়ে সময়ে পরিবর্তন হতে পারে। জীবনে উত্থান-পতন থাকাটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে আপনার এবং আপনার সঙ্গীর ধৈর্য ধরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের আগে আপনার সঙ্গীর ধৈর্য আছে কি না দেখে নিন। এভাবে পরে আর আফসোস থাকবে না। একজন ধৈর্যশীল ব্যক্তি কঠিন সময়ে আপনার পাশে দাঁড়াবে। তার ধৈর্য আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে। যদি আপনার সঙ্গীর ধৈর্যের গুণ থাকে তবে আপনি সহজেই এমনকি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করতে পারেন। আপনার বিবাহিত জীবনও সুখী হবে।
ঈশ্বরের ওপর ভরসা রাখুন
চাণক্যের মতে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখা ব্যক্তিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার আগে জেনে নিন তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে কি না। যে ব্যক্তি ঈশ্বরে বিশ্বাসী সে তার পরিবারের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। চাণক্য বলেছেন যে একজনের কেবল তার মুখ নয়, তার মনও দেখা উচিত। বাহ্যিক সৌন্দর্য সময়ের সঙ্গে ম্লান হয়ে যায়। কিন্তু অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য চিরকাল। আপনার সঙ্গী যদি ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয় তাহলে তাদের ভেতরের সৌন্দর্য ভাল থাকবে। যে ব্যক্তি ঈশ্বরে বিশ্বাস করে সে তার পরিবারের ভাল যত্ন নেয়।
সম্মানের গুণ
চাণক্য বলেন, যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে উভয়েরই একে অপরকে সম্মান করা উচিত। তবেই দাম্পত্য জীবন সুখের হবে। স্ত্রীর উচিত বড়দের সম্মান করা। এটি আপনার পিতামাতার জীবনকে সুখী করে তুলবে। এটি একটি সামগ্রিক সুখী পরিবারের জন্য ওষুধ।
সহনশীলতা
সংযম এবং ধৈর্য সহ একজন ব্যক্তি পরিবারকে সমস্ত কঠিন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবে। তারা কঠিন সময়ে পরিবারের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। বিয়ের আগে আপনার সঙ্গীর সহনশীলতা পরীক্ষা করুন।
রাগ
বিয়ের আগে আপনার স্ত্রীর মেজাজ পরীক্ষা করা উচিত। রাগ সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে। রাগের সময় মানুষ সঠিক ও ভুলের পার্থক্য ভুলে যায়। একজন রাগান্বিত ব্যক্তি তার সঙ্গীর কথাও ভাবে না। এমনকি তার স্ত্রীর সঙ্গেও রাগান্বিত আচরণ দেখায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার সম্পর্কের মধ্যে ফাটল দেখা দিতে পারে।