ভারতীয় রীতি অনুসারে বিবাহ সাত জন্মের বন্ধন। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি অনুগত না থাকলে বিয়ে টেকে না। বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয় যখন প্রতিটি বিষয়ে খোলামেলা কথা বলার পাশাপাশি ভালোবাসা,যত্ন, একে অপরের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা,বিশ্বাস এবং কয়েকটি নিয়মিত অভ্যাস থাকে। আসলে বিয়ে টেকাতে গেলে দুতরফেই লাগে চেষ্টা। ভালবাসা ও পরস্পরকে সম্মান দিলেই টেকে নারী-পুরুষের বিয়ে। এই চেষ্টা তখনই ফল দেয় যখন কোনও অজুহাত বা ক্লান্তি ছাড়াই প্রতিদিন ভালবাসার উদযাপন করতে থাকবেন। সকালের কয়েকটি অভ্যাসে দিনের শুরুতেই জমে উঠবে প্রেম। সম্পর্ক হবে মজবুত।
শুভ সকাল এবং বিদায় জানাতে ভুলবেন না- স্ত্রীকে 'গুড মর্নিং' এবং 'গুড বাই'বললে সম্পর্ক মজবুত হয়। ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে সুপ্রভাব বলুন। সঙ্গীকে প্রতিদিন সকালে ভালবাসা দিয়ে জাগিয়ে তুলুন। ঠোঁট কপালে বা গালে ছুঁয়েও বলতে পারেন সুপ্রভাত। এভাবে গোটা দিন ইতিবাচক হয়ে উঠবে। অফিসে যাওয়ার আগে স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরকে বিদায় জানান। জেনে নিন কখন বাড়ি ফিরবে সে। এটা আসলে মনে করিয়ে দেওয়া, আপনি তাঁকে কতটা মিস করবেন।
চা এবং ব্রেকফাস্ট একসঙ্গে করুন- প্রতিদিন সকালে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে চা ও ব্রেকফাস্ট করুন। এই অভ্যাস আপনাকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দম্পতি করে তুলতে পারে। এতে সবসময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে থাকবে মানসিক টান। পার্টনারের সঙ্গে সম্পর্ক আবেগী হয়ে উঠবে। পরস্পরের পছন্দ-অপছন্দ ও মনের কথা বুঝতে পারবেন।
ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না- জীবনসঙ্গী মানে জীবনের প্রতিটি মোড়ে একে অপরকে সাহায্য করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা। সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানানো প্রয়োজন। আপনি যখন প্রতিটি ছোট জিনিসের জন্য ধন্যবাদ বলেন, তখন আপনি আসলে সঙ্গীকে তাঁর গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেন। যে কোনও ছোট কাজের জন্য পরস্পরকে ধন্যবাদ জানান বা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করুন।
কথা বলুন- ঘুম থেকে ওঠার পর কারও সঙ্গে কথা বলতে ভালো না লাগলেও সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। পরস্পরকে খারাপ কথা বলবেন না। প্রেমময় শব্দ এবং রসিকতা করতে পারেন। সারাদিনে আপনি কী করবেন, স্ত্রী অফিসে কী করবেন, কখন ফিরবেন ইত্যাদি সম্পর্কে জানুন। ভুলেও আগের দিনের কোনও তিক্ত কথা বা ঝগড়ার রেশ রাখবেন না। নতুন দিন নতুনভাবে শুরু করুন।
রোম্যান্স- রোমান্স দিয়ে দিন শুরু করুন রোজ সকালে। সঙ্গীকে আলিঙ্গন এবং ঠোঁট দিয়ে ছুঁয়ে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করুন। এতে ভালোবাসা থাকবে চিরকাল। রোম্যান্স করলে শরীর থেকে সুখের হরমোন নিঃসৃত হয়। সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি থাকে না। রোমান্টিক হওয়ার প্রতিটি ছোট সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন। সবসময় যে মিলনই করতে হবে এমনটা নয়। প্রাতরাশের সময় হাত ধরা বা কাঁধে হালকা হাতও ভালোবাসার সোচ্চার প্রকাশ হতে পারে।