বিয়ের আগে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া। আজকাল অনেক কাপল-ই এমনটা করে থাকেন। অনেকেই এর সমালোচনা করে থাকেন। তবে রিলেশনসিপ গুরুরা বলছেন, বিয়ের আগে প্রত্যেক যুগলেরই টুকটাক বেড়াতে যাওয়া উচিত। কেন? তাঁদের কথায়, একসঙ্গে ভ্রমণের এই অভিজ্ঞতা একটি সম্পর্ককে আরও দৃঢ় হতে সাহায্য করে। ভারতে ক্রমেই অবিবাহিতদের মধ্যে বিয়ের আগেই কাছেপিঠে ট্যুর করার প্রবণতা বাড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। আজকের এই প্রতিবেদনে বিয়ের আগে একসঙ্গে ভ্রমণের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কমিউনিকেশন আরও ভাল হয় - কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে, আপনাদের সবকিছু পরিকল্পনা করতে হবে। আবার বেড়াতে গিয়েও কখনও কখনও আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। কোনও সমস্যায় পড়লে, সেখান থেকেও একসঙ্গে বুদ্ধি খাটিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কোনও যুগলের পারস্পরিক কমিউনিকেশনটা আরও ভাল হয়ে যায়। সাধারণ ডেটে গিয়ে এই ব্যাপারটা হয় না।
কম্প্যাটিবিলিটির পরীক্ষা- একসঙ্গে বেড়ালে কাপলরা অনেকটা সময় পরস্পরের সঙ্গে কাটান। ২-৩ ঘণ্টার দেখা করা আর টানা ২-৩ দিন একসঙ্গে ঘোরার মধ্যে কিন্তু অনেকটাই ফারাক। তাই একসঙ্গে বেড়াতে গেলে পরস্পরের বোঝাপড়া, কম্প্যাটিবিলিটি আরও ভাল হয়।
একে অপরের বিষয়ে আরও জানতে পারা: আইটি কর্মী অলীক ও সৌমিতা(নাম পরিবর্তিত) গত এক বছর ধরে সম্পর্কে আছেন। বাড়িতে বিয়ের কথাবার্তাও চলছে। এমন সময়ে তাঁরা একসঙ্গে কালিম্পং বেড়াতে যান। অলীকের কথায়, 'বেড়াতে গিয়ে সৌমিতার এমন নানা মজার অভ্যাসের কথা জানলাম, যা গত এক বছরে জানতামই না।' সৌমিতারও একই অভিজ্ঞতা। কালিম্পং থেকে ফেরার সময়ে তাঁদের জলপাইগুড়ির গাড়ি পেতেও সমস্যা হচ্ছিল। সেই পরিস্থিতি দারুণভাবে সামলান সৌমিতা। প্রেমিকার এই দৃঢ় মানসিকতা দেখে বেশ ইমপ্রেসড হন অলীক। এর মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক যেন আরও কাছের হয়ে গিয়েছে, বলছেন দু'জনেই।
স্মৃতির কারখানা- সঙ্গীর সঙ্গে মনোরম কোথাও বেড়িয়ে আসলে তার থেকে সুন্দর স্মৃতি কিছুই হতে পারে না। এটি আপনার সম্পর্কের ভিতকে আরও মজবুত হতে সাহায্য করবে।