ইলিশের পোনা ছাড়ার সময় নদীতে মাছের গায়ে ট্যাগ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন মাছ যখন বড় হয়েছে, তখন সেই ট্যাগ করা মাছ ধরতে পারলেই মিলবে পুরস্কার। এমনটাই ঘোষণা করেছে সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট(CIFRI)।
ইলিশের গতিবিধিতে নজর
গঙ্গার উপরিভাগে ইলিশের বিস্তার ঘটাতে ট্যাগ করা ইলিশ মাছ ছাড়া হয়েছে। ইলিশের ভারসাম্য ও গতিবিধি ঠিক আছে কিনা তা জানতেই এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছেই
ফারাক্কার ইলিশ নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই বৈজ্ঞানিকগত ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। গঙ্গা থেকে মাছ ধরার ফর ট্য়াগিং করে সেই মাছ নদীতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। গঙ্গার উপরিভাগে ইলিশ মাছের উৎপাদন এবং মাছের গতিবিধি বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৫ হাজার ইলিশ রেঞ্চিং করা হয়েছে
ইতিমধ্যে নমামি গঙ্গে প্রজেক্ট এর মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে পরিকল্পনা নিয়েছে। ফারাক্কা রেঞ্চিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। যাতে পদ্মা থেকে সাঁতরে গঙ্গায় আসতে পারে ইলিশ। শুধুমাত্র পদ্মায় সীমিত না থেকে ইলিশ যেন গঙ্গার এই অংশে ও চলে আসতে পারে এবং তা যেন সারা বছর মেলে তার জন্য এই বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ইলিশ রেঞ্চিং করা হয়েছে।
২০০ টাকা করে পুরস্কার
এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে ২০০ টির মতো মাছ ট্যাগিং করা হয়েছে। সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে মৎস্যজীবীদেরও সচেতন করা হচ্ছে। যাতে যথেচ্ছ মাছ ধরা না হয়। ফারাক্কার ইলিশ রেঞ্চিং স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, যাঁরা ট্যাগিং করা মাছ পাচ্ছেন তাদের প্রত্যেককে প্রতিটি মাছের জন্য ২০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার স্বরূপ। তাদের মাধ্যমে সচেতনতা প্রচার আরও বেশি করে হবে এবং সেটা আলোচনার মধ্য দিয়ে চর্চা করবেন মৎস্যজীবীরা। ফারাক্কা, মালদার কৃষ্ণঘাটে এ রকমটা যাঁরা ধরতে পেরেছেন তাদের প্রত্যেকে দুশো টাকা করে পুরস্কার মূল্য দেওয়া হয়েছে।