Marriage Tips: বয়স ২২-২৩ পেরোলেই ছেলে-মেয়েদের ওপর বিয়ের চাপ পড়তে শুরু করে। বন্ধু-বান্ধব থেকে আত্মীয়-স্বজন, সকলেরই বিয়ে নিয়ে থাকে প্রবল মাথা ব্যাথা। নানা মুনির, নানা মত। এই অবস্থায় পরিবার ও সমাজের চাপে বিয়ের কথা ভাবতে শুরু করেন অনেকেই। অনেক সময় অনেকেই তাদের জীবনে পরিবর্তন আনতে এমনকি বিয়ের মতো স্পর্শকাতর বিষয়কে উপেক্ষা করে ভুল সিদ্ধান্ত নেন। আর এতেই ছারখার হয় জীবন।
১. সামাজিক চাপে বিয়ে
পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের চাপে কখনওই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন না। মানুষের কাজ কেবল আপনাকে পরামর্শ দেওয়া, তবে কখন এবং কাকে বিয়ে করবেন, সেই সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ আপনার হওয়া উচিত। আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত হলেই বিয়ে করুন।
২, ব্রেকআপ কাটিয়ে উঠতে বিয়ে
প্রায়শই ব্রেকআপের পরে মানুষ একটি সমর্থন খোঁজে। খুব কম মানুষেরই ভাঙা হৃদয়ের যন্ত্রণা সহ্য করার সাহস থাকে, তাই বেশিরভাগ মানুষই ব্রেকআপের পরেই অন্য কোনও বিকল্প খোঁজেন, যাতে তাদের মনোযোগ প্রাক্তন সঙ্গীর দিকে না যায়। অতীত থেকে পরিত্রাণ পেতে, কারোও সঙ্গে বিবাহ করলে তা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হতে পারে।
৩. পারিবারিক চাপ
আপনি যদি আপনার ভাই-বোনদের মধ্যে বড় হন তবে আপনি নিজেই একটি দায়িত্ব অনুভব করতে শুরু করেন। বাবা-মা এবং আত্মীয়-স্বজনরাও আপনাকে বারবার দায়িত্ব অনুভব করে যে আপনি যদি বাড়ির বড় হন তবে আপনার তাড়াতাড়ি বিয়ে করা উচিত। এই চাপে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক তা একবার ভাবুন।
৪. বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে
বিয়েতে বয়স বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বয়সের বিলম্বের কারণে তাড়াহুড়ো করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। পরবর্তীতে, আপনি নিজেও বিয়ের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারেন, তবে সঠিক বয়সে বিয়ে করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেবেন না।
৫. ঐতিহ্য বহন করতে
আমাদের সমাজে যুগ যুগ ধরে বিয়ের প্রথা চলে আসছে। সবাই বিয়ে করে, শুধু এই ভেবে বিয়ে করা বোকামি হবে। এমন কোনও নিয়ম নেই যে বিয়ে করা বাধ্যতামূলক। আজকের যুগে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিয়ে ছাড়াই সুখে নিজের জীবন নিয়ে বাঁচছেন।