শরীর সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক খাবারের ভূমিকা অপরিসীম। বাদাম শুধু একটি পুষ্টিকর খাবারই নয়, বরং এটি ভান্ডার বহু ভিটামিন, খনিজ ও স্বাস্থ্যকর চর্বির। নিয়মিত ও সঠিক পরিমাণে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর পায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি, আর একসঙ্গে কমে নানা রোগের ঝুঁকি।
হৃদযন্ত্রকে রাখে সুরক্ষিত
বাদামে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর চর্বি, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে ও ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত বাদাম খেলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে এবং হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
হজমশক্তি উন্নত করে
ফাইবারসমৃদ্ধ বাদাম হজমতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর এবং অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, ফলে পুষ্টি শোষণ আরও ভালোভাবে হয়।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
বাদামে থাকা রাইবোফ্লাভিন ও এল-কার্নিটিন মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। প্রতিদিন বাদাম খাওয়া স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে, মনোযোগ বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁতের যত্নে
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ বাদাম হাড় ও দাঁতকে করে আরও মজবুত। এটি হাড় ভাঙার ঝুঁকি কমায় এবং জয়েন্টে ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সহায়ক
বাদামে ক্যালোরি থাকলেও এর প্রোটিন ও ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে ঘন ঘন খাওয়ার অভ্যাস কমে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যে
ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ বাদাম ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন বাদাম খেলে ত্বক হয় আরও উজ্জ্বল, বার্ধক্যের লক্ষণ কমে এবং চুল হয় আরও শক্ত ও চকচকে।