
Amla Benefits: বছরের যে কোনও সময়ে আমলকি খেলে বিরাট লাভ রয়েছে। বিভিন্ন রোগ থেকে যেমন সুরক্ষা দেয়, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। আমলকি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। এতে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকারী খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে। এর পুষ্টিগুণ আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। আমলকি নানাভাবে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এর রস, মোরব্বা, আচার বা কাঁচা খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকার হয়। আয়ুর্বেদে আমলকিকে আয়ুর্বেদেও উপকারী বলা হয়।
আমলকির ভিটামিন- এতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মেটাবলিজম বাড়াতে কাজ করে। ঠান্ডা, কফ ছাড়াও আমলকি শরীরে ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে দেয় না। আমলকিতে এমন উপাদান রয়েছে যা ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কাজ করে। আমলকির রস শরীরের সমস্ত প্রক্রিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং বাত, কফ, পিত্তের সমস্যা দূর করে।
হাঁপানিতে উপকারি- আমলকি হাঁপানির মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। পাচনতন্ত্রও সুস্থ রাখে। এতে উপস্থিত ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শ্বাসতন্ত্র উভয়ের জন্যই ভালো বলে মনে করা হয়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ- নিয়মিত আমলকির রস পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে। এতে পাওয়া অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে হৃৎপিণ্ড মসৃণভাবে কাজ করে।
লিভারের জন্য উপকারি- লিভারকে রক্ষা করার সব উপাদানই আমলকিতে পাওয়া যায়। এটি শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন উপাদান বের করে দেয়।
মুখের ঘা- স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশি ও ফ্লুর পাশাপাশি মুখের আলসারেও আমলকির রস খুবই উপকারি। আমলকি একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। দুই চামচ আমলকির রসে দুই চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে সর্দি-কাশিতে অনেক উপকার পাওয়া যায়। মুখের ঘা থেকে মুক্তি পেতে এক চামচ আমলকির রস জলে মিশিয়ে গার্গল করুন।
চুলের গোড়া শক্ত- আমলকি চুলের জন্য ওষুধের মতো কাজ করে। আমাদের চুলের গঠন ৯৯ শতাংশ প্রোটিন উপাদান দিয়ে। আমলকিতে পাওয়া অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়, চুল পড়া রোধ করে এবং গোড়া থেকে মজবুত করে।
দাগ দূর করে- আমলকির রস ত্বকের চিকিৎসায়ও উপকারি। তুলোর পশমে ভিজিয়ে আমলকির রস লাগালে মুখের দাগ দূর হয় এবং মুখে উজ্জ্বলতা আসে।
পুষ্টিকর পানীয়- ভিটামিন-সি ছাড়াও আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস প্রচুর পরিমাণে আমলকিতে পাওয়া যায় এবং এটি একটি পুষ্টিকর পানীয় হিসেবেও পান করা যেতে পারে।