scorecardresearch
 

Anti Ageing Formula: বয়স ১০ বছর কম দেখাবে! জানুন চিরতরুণ থাকার গোপন ফর্মুলা

Anti Ageing Tips: পৃথিবীতে এমন অনেক কৌশল রয়েছে যা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির জীবনকে দীর্ঘায়িত করে না, বরং আপনাকে আপনার প্রকৃত বয়সের চেয়ে কম বয়সী দেখায়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি

বার্ধক্য (Ageing) কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। যদিও বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, পৃথিবীতে এমন অনেক কৌশল রয়েছে যা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির জীবনকে দীর্ঘায়িত করে না, বরং আপনাকে আপনার প্রকৃত বয়সের চেয়ে কম বয়সী দেখায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টিপসগুলি অবলম্বন করার পরে, কেউ আপনার সঠিক বয়স অনুমান করতে পারবে না এবং আপনাকে প্রায় ১০ বছর ছোট দেখাবে। আসুন জানা যাক কমবয়সী দেখানোর সেই সিক্রেটগুলি কী কী। 

* হাতে সানস্ক্রিন (Sunscreen On Hands)

মিয়ামি বোর্ডের সার্টিফাইড চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান গঞ্জালেস বলেছেন যে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে বলিরেখা, রুক্ষতা বা দাগের জন্য দায়ী। তাই ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুবই জরুরি। অনেকেই এটি মুখে ব্যবহার করেন। এর ফলে চেহারা তরুণ দেখালেও, হাতের প্রাণহীন ত্বক সব রহস্য উন্মোচন করে দেয়। তাই আপনার হাতেও এটি ব্যবহার করা উচিত।

* অ্যান্টি এজিং ফুড  (Anti Aging Food)

নিউইয়র্কের একজন সুপরিচিত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডেবরা জালিমান বলেছেন যে, বিভিন্ন খাবারের মধ্যে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। ফলের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের উন্নতিতে কাজ করে। ডালিম, ব্লুবেরি, ব্ল্যাক বেরি এবং ক্র্যানবেরির মতো ফল এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল। সেই সঙ্গে প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি খাওয়া এড়াতে হবে।

* পর্যাপ্ত ঘুম  (Adequate Sleep)

নিউইয়র্কের প্রখ্যাত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট নিকেত সোনপাল, ঘুমকে সেরা অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট বলে মনে করেন। ত্বকে সূর্যের রশ্মির কারণে সৃষ্ট চাপ থেকে পুনরুদ্ধার করতে পর্যাপ্ত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের অভাবে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেলস, মুখে বলিরেখা এবং চোখ ফুলে যায়। এই সব জিনিসই আপনাকে বুড়ো করার জন্য যথেষ্ট। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘুমের সময় আমাদের শরীর ঠিক মতো নিজেকে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং এর ফলে বয়স কম দেখায়।

Advertisement

* তিনটি বিশেষ ভিটামিন (Three Special Vitamins) 

সার্টিফাইড ডার্মাটোলজিস্ট স্ট্যাসি শিমেন্তোর মতে, অ্যান্টি এজিং সমস্যা এড়াতে এবিসি (ABC) ফর্মুলা সব সময় মনে রাখতে হবে। A, বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি এড়াতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যবহার করুন। সূর্য থেকে নির্গত B অর্থাৎ UVA/B রশ্মি এড়াতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। আর C মানে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে ভিটামিন-সি ব্যবহার করুন।

* সবুজ শাকসবজি (Green Vegetables)

ডাঃ শিমেন্টো আরও বলেন, ভাল খাবারের মাধ্যমেও ত্বককে সুস্থ রাখা যায়। আমাদের খাদ্যতালিকায় ফলমূলের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আমাদের খাদ্যের মধ্যে এমন জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা, স্বাস্থ্যকর কোলাজেন, ফ্রি র‌্যাডিক্যালস, সূর্যের ক্ষতি এবং প্রদাহজনিত সমস্যাগুলি দূর করতে কাজ করে।

* সঠিক শরীরের ভঙ্গি (Correct Body Posture)

নিউ ইয়র্কের অর্থোপেডিক সার্জন গবোলাহ ওকুবদেজো বলেছেন যে, সঠিক শরীরের ভঙ্গি থাকলে একজন ব্যক্তিকে লম্বা, পাতলা এবং কম বয়সী দেখায়। তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষ চেয়ার, ডেস্ক, ফোন বা স্মার্ট গ্যাজেট নিয়ে সময় কাটায় এবং এগুলি ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীর বাঁকতে শুরু করে। এই সমস্ত জিনিস ব্যবহার করার সময় আমাদের শরীরের সঠিক ভঙ্গি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

* হাসি (Smile)  

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বার এবং নিউরোসাইকোলজিস্ট সানাম হাফিজ বলেছেন যে, একজন মানুষের হাসি তার বাড়ন্ত বয়স লুকানোর সবচেয়ে ভাল ফর্মুলা। তিনি বলেন, যারা বেশি হাসেন তাদের প্রকৃত বয়সের চেয়ে অনেক কম বয়সী দেখায়। মন থেকে হাসলে আপনাকে তরুণ দেখায়। হাসি একজন ব্যক্তির মুখে উজ্জ্বলতা আনে, বেশি রাগান্বিত লোকেদের প্রকৃত বয়সের চেয়ে বেশি বয়স্ক দেখায়।

* ব্যায়াম (Exercise)  

জেসিকা মাজুকো, নিউ ইয়র্কের একজন ফিটনেস প্রশিক্ষক বলেছেন যে, একজন ব্যক্তির বয়স সম্পর্কে তার চলাফেরার থেকেও অনেক কিছু শেখা যায়। তিনি বলেন, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের বার্ধক্য অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ওয়ার্কআউট করার মাধ্যমে, আপনি কেবল স্বাস্থ্যকর ত্বক পাবেন না, সেই সঙ্গে শরীরও নিখুঁত অঙ্গবিন্যাস পায়।

* শরীর হাইড্রেটেড রাখুন (Keep The Body Hydrated)

ডাঃ শিমেন্তো বলেছেন যে, শরীরের ভাল হাইড্রেশন লেভেলও একজন ব্যক্তির উজ্জ্বল মুখের পিছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আমাদের ত্বকের পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণ ও ফুসকুড়ির মতো প্রদাহজনিত সমস্যাগুলি বেশিরভাগই ডিহাইড্রেটেড ত্বকে দেখা যায়। তাই খেয়াল রাখুন শরীরে জলের ঘাটতি যেন না হয় , কারণ এটিই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।

 

Advertisement