বার্ধক্য কেউ ঠেকাতে পারে না। সময়ের সঙ্গে প্রত্যেকের বয়স বাড়ে। ফলে শরীরের পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক বিষয়। বার্ধক্য রোধ করতে ও ত্বকের যত্ন নিতে অনেকে বিভিন্ন ধরনের লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করেন। বাজারজাত রাসায়নিক পণ্য কিছুটা কাজে লাগলেও, সম্পূর্ণ ফল মেলে না এগুলি ব্যবহারে। অনেক সময় এসব পণ্য ব্যবহারে ত্বকের উপকার কম এবং ক্ষতি বেশি হয়।
কখনও কখনও অকাল বার্ধক্যের লক্ষণ যেমন বলিরেখা এবং সূক্ষ্মরেখা ইত্যাদি দেখা দিতে শুরু করে, যাকে বলা হয় অকাল বার্ধক্য। এর কারণ দুর্বল জীবনধারা এবং পরিবেশগত কিছু বিষয়। অকাল বার্ধক্যের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলি হল ত্বকে বলিরেখা, শুষ্কতা বা ত্বকে পরিবর্তন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস, অকাল বার্ধক্যে থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। জানুন দৈনন্দিন জীবনের কোন কোন অভ্যাস অ্যান্টি- এজিং হিসাবে কাজ করে।
চিনি
চিনি খুব দ্রুত বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে এবং আপনাকে সময়ের আগেই বুড়ো দেখাতে পারে। ফলে, ২৫ বছর বয়সের পরে খাবারে চিনির পরিমাণ সীমিত করা উচিত। এটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
ধূমপান
ধূমপানে উপস্থিত নিকোটিন শরীরের পাশাপাশি ত্বকের কোষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটি আপনার কোষকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার কারণে কোষ প্রাণহীন হতে শুরু করে। এর কারণে সময়ের আগেই বৃদ্ধ দেখাতে শুরু করে।
কার্বোহাইড্রেট
চিনির পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারও দ্রুত বার্ধক্যের কারণ। পিৎজা, বার্গার, বিস্কুট এবং ফাস্টফুডের মতো মিহি ময়দার তৈরি জিনিস খেলে, সময়ের আগে বয়সে পরিণত করে।
মদ
অত্যধিক অ্যালকোহল পান করলে, ত্বকের দ্রুত বার্ধক্য আসে। কারণ অ্যালকোহল ত্বককে ডিহাইড্রেট করে, যা বার্ধক্যের লক্ষণ দেখায়। দীর্ঘমেয়াদী অ্যালকোহল সেবন ত্বককে বৃদ্ধ ও প্রাণহীন করে তোলে।
ঘুমের অভাব
ঘুমানোর সময় শরীর ত্বকের কোষ মেরামত করে। ঘুমের অভাব ত্বকেও প্রভাব ফেলে এবং অকাল বার্ধক্য ঘটায়। এটি শরীরের উপর আরও চাপ দেয়, প্রতিদিনের ক্লান্তি থেকে পুনরুদ্ধার করা কঠিন করে তোলে। ঘুম আপনার মেটাবলিজম ঠিক রাখে, যাতে আপনার শরীর ঠিক ভাবে কাজ করে।