স্বাস্থ্যই সম্পদ। সুস্বাস্থ্য থাকলে আত্মবিশ্বাস থাকে। কাজে মন লাগে। অনেকেই চান বয়স বাড়লেও যেন যৌবন থাকে। সেটা কি আজকের ব্যস্ত জীবনবযাত্রায় সম্ভব? একশো শতাংশ সম্ভব। আসলে মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে প্রভাবিত হচ্ছে স্বাস্থ্য। অল্প বয়সেই নানা রোগ ঘিরে ধরছে। যা সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়। খাবারের নামে শিশু থেকে যুবকরা এখন জাঙ্ক ফুড, নুডলস, চাউমিনের মতো খাবার খায়। এসব খাবার পেট ভরালেও স্বাস্থ্য নষ্ট করে। এই সব মুখরোচক খাবার খাওয়ার ফলে কম বয়সেই কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের মতো অসুখ হচ্ছে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, আজকাল মানুষের শারীরিক কসরত কমে গিয়েছে। একটানা দুই ঘণ্টা চেয়ারে বসে থাকা শরীরের ততটাই ক্ষতি করে যতটা ধূমপান। শরীরের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় সুগার ও রক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে চাইলে আজ থেকেই আপনার জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভাসে পরিবর্তন দরকার। তাতে দীর্ঘসময় সুস্থ থাকবেন। এমনই পাঁচটি টিপস জেনে নেওয়া যাক যা দীর্ঘ সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ- দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে এবং সুগার ও উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুখ এড়াতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্যকর ডায়েট মানে মরসুমী শাকসবজি এবং ফলমূল। খাদ্যতালিকায় কম ফ্যাটের খাবার রাখুন। জাঙ্ক ফুড এড়ান। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
খাওয়ার পর ১০ মিনিট হাঁটুন- দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে বসা বা ঘুমোনো উচিত নয়। খাবার খেয়ে বসে থাকলে বা ঘুমোলে শরীরের মেটাবলিজম ঠিক থাকে না। ফলে ওজন বাড়ে। খাওয়ার পর ১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে অনেক রোগকে বাই-বাই বলতে পারেন।
পর্যাপ্ত জল খান- কিডনি থেকে সুগার রোগ এড়াতে চাইলে বেশি করে জল খান। বেশি জল খেলে কিডনি ঠিকঠাক কাজ করে। ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন ৭ গ্লাস জল খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে। গড়ে ওঠে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
আরও পড়ুন- মাসে টানা ৭ দিন খান এই পাতার রস, ওষুধ ছাড়াই কমবে থাইরয়েড
রাতে ৮-৯ ঘন্টা ঘুমোন- সুস্বাস্থ্যের জন্য রাতে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি। ভালো ঘুম হলে মেজাজ সতেজ থাকবে। আপনি কাজে ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারবেন। শরীরের বিকাশের জন্য ভালো ঘুম জরুরি। ঘুম স্ট্রেস হরমোন কমায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। রাতের পর্যাপ্ত ঘুম খিদে, শ্বাস, রক্তচাপ এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
শরীরচর্চা- উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করেন সবাই কিন্তু ক্যালোরি পোড়ান না। ক্যালোরি কমানো খুব দরকার। তাই প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা হলেও শারীরিক কসরত করুন। কসরত সম্ভব না হলে হাঁটুন।