Anti Aging Best Formula: ৫০ পেরলেও দেখতে লাগবে ৩০ বছর বয়সী, এই অভ্যাসে সৌন্দর্যের রহস্য লুকিয়ে

Anti Aging Best Formula: ৪০ পেরোলেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। এই সময়, বয়স বৃদ্ধি, পরিবেশের পরিবর্তন, শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ত্বকে খারাপ প্রভাব ফেলে।

Advertisement
৫০ পেরলেও দেখতে লাগবে ৩০ বছর বয়সী, এই অভ্যাসে সৌন্দর্যের রহস্য লুকিয়ে প্রতীকী ছবি

সকলেই সব সময় নিজেকে তরুণ এবং সুন্দর দেখতে চায়। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব মুখেও দেখা দিতে শুরু করে। মুখে বলিরেখা, সূক্ষ্ম রেখা এবং ত্বক ঝুলে যাওয়া, এগুলোই বার্ধক্যের লক্ষণ। ৪০ পেরোলেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। এই সময়, বয়স বৃদ্ধি, পরিবেশের পরিবর্তন, শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ত্বকে খারাপ প্রভাব ফেলে।

আসলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর এবং ত্বকেরও বয়স বেড়ে যায়। কিন্তু কখনও কখনও ব্যস্ত জীবনধারা এবং পুষ্টির অভাবের কারণে, শরীর এবং ত্বকে সময়ের আগেই বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার বয়স থামাতে পারবেন না। তবে অবশ্যই ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া এড়ানো সম্ভব। বয়সকে হারিয়ে ত্বককে তরুণ রাখার জন্য, আজকাল মানুষ দামি চিকিৎসার দিকে ঝোঁকে। নিজেকে তরুণ দেখাতে জলের মতো টাকা খরচ করতে হয় না। ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার আসল কারণ খাদ্যাভ্যাস ও অভ্যাস। 

কিছু সহজ, ঘরোয়া প্রতিকার বছরের পর বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই প্রতিকারগুলি শুধুমাত্র ত্বক এবং চুলকে সুস্থ করে তোলে না। সেই সঙ্গে আপনাকে ফিট এবং সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

উষ্ণ গরম জল ও লেবু 

লেবু জল একটি প্রাকৃতিক ডিটক্স পানীয় হিসেবে কাজ করে। লেবু দিয়ে গরম জল পান করলে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের হয়ে যায়, হজমশক্তি উন্নত হয় এবং বিপাক বৃদ্ধি পায়। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং বলিরেখা প্রতিরোধে সাহায্য করে। আপনি যদি হালকা মিষ্টি পছন্দ করেন, তাহলে আপনি সামান্য মধু যোগ করতে পারেন।

চুলে তেল 

চুল আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। সপ্তাহে দু'বার চুলে নারকেল, আমন্ড বা সর্ষের তেল লাগালে কেবল চুল পড়া এবং সাদা হওয়া রোধ হয় না, সেই সঙ্গে মাথার ত্বকও সুস্থ থাকে। এটি রক্ত ​​সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং আপনার চুলে একটি প্রাকৃতিক চকচকেভাব যোগ করে। সুস্থ চুল আপনার সামগ্রিক চেহারাকে তরুণ এবং সতেজ করে তোলে।

Advertisement

সুপারফুড

আমাদের রান্নাঘরে এমন অনেক খাবার আছে যা প্রাকৃতিক বার্ধক্য রোধকারী এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে মুক্ত র‍্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। আমলকী ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এছাড়া, আমন্ড এবং আখরোটের মতো বাদাম ত্বককে নরম করে এবং চুলকে শক্তিশালী করে।

সক্রিয়তা 

যোগব্যায়াম এবং হালকা ব্যায়াম শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি, রক্ত ​​সঞ্চালন এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট হাঁটা, সূর্য নমস্কার বা হালকা স্ট্রেচিং আপনাকে সক্রিয় রাখতে পারে এবং মানসিক চাপ কমাতে পারে। মানসিক চাপ কমলে, স্বাভাবিকভাবেই ত্বক উজ্জ্বল থাকবে।

ভাল ঘুম

রাতের ভাল বা খারাপ ঘুম ত্বকের উপর সবচেয়ে ভাল প্রভাব ফেলে। ৭-৮ ঘণ্টা ভাল ঘুম ত্বক মেরামত করতে সাহায্য করে এবং কালো দাগ প্রতিরোধ করে। ঘুমানোর আগে হলুদ বা এলাচের দুধ পান করুন, ফোন থেকে দূরে থাকুন এবং ঘর শান্ত রাখুন। এটি আপনাকে গভীর ঘুমে সাহায্য করবে এবং সকালে আপনাকে সতেজ রাখবে।

হাসি 

মন থেকে হাসি যে কোনও মেকআপের চেয়েও সুন্দর। হাসি কেবল মেজাজ উন্নত করে না, মানসিক চাপও কমায়। মানসিক চাপ কমে গেলে, ত্বক স্বয়ংক্রিয়ভাবে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

 

POST A COMMENT
Advertisement