সকলেই সব সময় নিজেকে তরুণ এবং সুন্দর দেখতে চায়। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব মুখেও দেখা দিতে শুরু করে। মুখে বলিরেখা, সূক্ষ্ম রেখা এবং ত্বক ঝুলে যাওয়া, এগুলোই বার্ধক্যের লক্ষণ। ৪০ পেরোলেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। এই সময়, বয়স বৃদ্ধি, পরিবেশের পরিবর্তন, শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ত্বকে খারাপ প্রভাব ফেলে।
বর্তমান সময়ে ব্যস্ত এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে, বয়সের আগেই ত্বকে অকাল বার্ধক্য দেখা যায়। ত্বকে অকাল বার্ধক্যের এছাড়াও অনেক কারণ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছু টিপস মানলে অকাল বার্ধক্য এড়ানো সম্ভব।
সানস্ক্রিন লাগান
সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এমনকী রোদে না বেরলেও ত্বকে কমপক্ষে SPF 30- সহ একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন লাগান। প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর পুনরায় লাগান। এছাড়া সাঁতার কাটলে বা ঘামলেও ফের সানস্ক্রিন লাগাতে পারেন।
ধূমপান
ধূমপান ত্যাগ করা কঠিন হলেও, ধীরে ধীরে ত্যাগ করা সবচেয়ে মঙ্গলজনক। ধূমপান ত্বককে খুব দ্রুত বুড়িয়ে দেয়। এর ফলে বলিরেখা দেখা দেয় এবং ত্বকের রং ফ্যাকাশে এবং হলুদ হয়ে যায়।
বেশি জল পান
হাইড্রেটেড না থাকলে, আপনাকে আপনার প্রকৃত বয়সের চেয়ে বয়স্ক দেখাতে পারে। হাইড্রেটেড থাকলে আপনার বিপাকীয় কার্যকারিতা বজায় থাকবে। ত্বককে সুস্থ এবং ভিতর থেকে উজ্জ্বল রাখার একটি উপায় এটি।
শুষ্ক ঠোঁট
ফাটা এবং শুষ্ক ঠোঁটের জন্য আপনার বয়স অনেক দেখাতে পারে। দিনের বেলায় SPF যুক্ত লিপ বাম লাগান। লিপস্টিক লাগানোর আগে সব সময় ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করুন।
ত্বককে এক্সফোলিয়েট
আপনার ত্বককে সতেজ এবং তরুণ দেখাতে মৃত ত্বকের কোষ থেকে মুক্তি পেতে হবে। আপনি সপ্তাহে একবার বা দু'বার স্ক্রাব করতে পারেন।
সুষম খাদ্য
প্রচুর তাজা ফল এবং শাকসবজি খেলে ত্বকের অকাল বার্ধক্য এড়ানো যায়। অতিরিক্ত চিনি বা পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেলে বার্ধক্য ত্বরান্বিত হতে পারে।