অনেকেই পড়াশোনার পর চাকরির খোঁজে বের হন। কিন্তু চাকরি পাওয়া সহজ কাজ নয়। চাকরির জন্য সঠিক কোম্পানি খুঁজে পেতে হলে বেশ কয়েক দফা ইন্টারভিউ দিতে হয়। সবাই কাজ করতে চান, কিন্তু কোনও কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার সঠিক উপায় তাঁরা জানেন না। চাকরির জন্য ইন্টারভিউ হল প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। তবে অনেকেই প্রায়শই ইন্টারভিউয়ে কিছু সহজ ভুল করেন, যার জন্য় চাকরি পান না।
ইন্টারভিউয়ে কেবল ভাল পোশাক পরা বা সিভি নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট নয়। সেখানে, আপনার আচরণ, চিন্তাভাবনা এবং এমনকি ছোট উত্তরও একটি বড় ছাপ ফেলে। আপনি যদি চান যে যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তিনি আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরেই মুগ্ধ হন, তাহলে কিছু অভ্যাস মানতে শুরু করুন। যাতে আপনি যখন ইন্টারভিউ দেবেন, তখনই ইন্টারভিউয়ার আপনার আচরণ এবং চিন্তাভাবনায় মুগ্ধ হন।
সময়মতো পৌঁছনো
সময়ানুবর্তিতা আপনার পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গি দেখায়। এটি আপনার কাজ এবং কাজের প্রতি আপনি কতটা গুরুতর তা দেখানোর একটি উপায়। অতএব, ইন্টারভিউয়ের দিন ১০-১৫ মিনিট আগে পৌঁছে যান।
আত্মবিশ্বাসী শারীরিক ভাষা
যিনি ইন্টারভিউ নেবেন তাঁকে আপনার আত্মবিশ্বাস দেখানো গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নয়, বরং আপনি যেভাবে বসেন, হাত মেলান, একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন। যাতে সামনে বসা মানুষটি আপনার আত্মবিশ্বাস বুঝতে পারেন। এই সবই আপনার ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরে।
কোম্পানি সম্পর্কে গবেষণা করা
আপনি যে কোম্পানিতে চাকরির চেষ্টা করছেন সেই কোম্পানির মালিক, কাজের ধরন সম্পর্কে আপনার আগে থেকেই কিছু তথ্য জানা উচিত। ইন্টারভিউয়ের আগে কোম্পানি সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য থাকা আপনাকে চাকরি পাওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে দিতে পারেন।
স্পষ্ট এবং ইতিবাচক উত্তর দেওয়া
ইন্টারভিউয়ার আপনার উত্তরের ধরন দেখে বুঝতে পারেন যে আপনি কতটা ইতিবাচক। উত্তর দেওয়ার সময় এদিক-ওদিক করবেন না। যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তার সঙ্গে সম্পর্কিত পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট উত্তর দিন।
ধন্যবাদ বলতে ভুলবেন না
ইন্টারভিউয়ারকে প্রভাবিত করার জন্য ভাল কথোপকথন করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, তাঁদের আপনার পেশাদার মনোভাব দেখান। ইন্টারভিউ যেভাবেই হোক না কেন, সব শেষে হেসে ধন্যবাদ বলা একটি পেশাদার অভ্যাস।