আর্থ্রাইটিস এক ধরনের জয়েন্ট পেইন বা গাঁটের ব্যথা, যা প্রদাহের কারণে ঘটে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে ভুগছেন। এর বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। দুটি সবচেয়ে সাধারণ প্রকার হল অস্টিওআর্থারাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। অস্টিওআর্থারাইটিস (Osteoarthritis) সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্টগুলিতে সমস্যার কারণে হয়। আর রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid Arthritis) হল একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, যার ফলে প্রদাহ এবং ব্যথা হয়। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনার পিছু না ছাড়ে, তাহলে এর পেছনে থাকতে পারে নিজের কিছু অভ্যাস। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই অভ্যাসগুলোর বিষয়ে, যেগুলি তাৎক্ষণিক পরিবর্তন করলে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা অনেকটাই কমানো যায় (Arthritis Pain Relief)।
ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম যোগ করা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে নিয়মিত যোগব্যায়াম বা খালি হাতে ব্যায়াম করা যেতে পারে। আর শুধু আর্থ্রাইটিসের ব্যথাই নয়, গোটা দেহকে সচল রাখতেও নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যয়াম করা উচিত।
স্নান
স্নানের আগে কুসুম কুসুম গরম জল দিয়ে সারা শরীরে সেক দিলে বাতের ব্যথা কমানো যেতে পারে। এটি খুবই উপকারী একটি পদ্ধতি। বিশেষত শীতকালে এটি অবশ্যই করা উচিত।
খাদ্য
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে ভিটামিন এবং খনিজ, যেমন ভিটামিন ডি এবং সেলেনিয়ামের মতো সম্পূরকগুলি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং সর্বোত্তম পুষ্টি সরবরাহ করতে ব্যবহার করা উচিত।
ঘি
বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ঘি খুবই সাহায্য করতে পারে। এছাড়া ঘি-এর আরও অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তাই ডায়েটে ঘি রাখতে পারেন।
জয়েন্টের ব্যথা বাড়ায় এমন ব্যায়াম করবেন না
আর্থ্রাইটিস ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে, জয়েন্টে ব্যথা বাড়ায় এমন ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলা উচিত। এর পাশাপাশি গাঁটের ব্যথা থাকলে যথাযথ বিশ্রামও নেওয়া উচিত। মনে রাখবেন এই ধরনের ব্যথার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকা উচিত নয়।
আরও পড়ুন - শরীরে ৩ জায়গায় ব্যথা নেই তো? ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ