High Uric Acid Foods: গেঁটে বাতের ব্যথায় কাবু, এই পুষ্টিকর খাবারগুলি দায়ী নয় তো? ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়

Uric Acid High Symptom : আপনার কি শরীরে ব্যথা, পায়ে ফোলাভাব এবং তীব্র ব্যথা বা জয়েন্টগুলোতে ফোলাভাব আছে? এই সবই শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চ মাত্রার কিছু লক্ষণ। এই ব্যথা বাতের মতো কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ায় ব্যথা এতটাই তীব্র যে সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। ইউরিক অ্যাসিড একটি বর্জ্য পদার্থ যা শরীরে পিউরিনের ভাঙন দ্বারা উত্পাদিত হয়। আপনার খাওয়া খাবার থেকে পিউরিন শরীরে প্রবেশ করে।

রক্তে ইউরিক অ্যাসিড জমে। এই নোংরা পদার্থটি প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়, তবে অনেক সময় এর মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে, এটি জয়েন্টগুলিতে জমা হয়ে ছোট পাথরের রূপ নেয়। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে গাউট বা গেঁটে বাত  হতে পারে। শুধু তাই নয়, এর ফলে আপনার কিডনিতেও পাথর হতে পারে।

ডায়েটিশিয়ানদের মতে, আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই বাজে পদার্থটি বিয়ার বা চিনিযুক্ত পানীয়ের সঙ্গে শুধু  বাড়ে না, এমনকি আপনি যে স্বাস্থ্যকর খাবার খান তার থেকেও এর মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায় । আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন স্বাস্থ্যকর খাবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে।

ফলের রস
ফ্রুক্টোজ এবং চিনিযুক্ত পানীয় দ্রুত ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে এবং গাউট রোগের তীব্রতা বাড়াতে পারে। অবশ্য ফলের রসে পিউরিনের পরিমাণ বেশি না হলেও ফ্রুকটোজের কারণে তা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ধরনের পানীয় শরীরের নির্দিষ্ট সেলুলার প্রক্রিয়া সক্রিয় করে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি করে।

রুটি এবং ভাত
রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট যেমন সাদা রুটি, কেক, সাদা ভাত, চিনি এবং কুকিজ গেঁটে বাত বা গাউটের সময় অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এই জাতীয় খাবারগুলিতে পিউরিন বা ফ্রুক্টোজ বেশি নেই তবে তাদের পুষ্টির মান আসলে কম, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

স্বাস্থ্যকর স্ন্য়াক্স
আপনার গাউট হলে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন স্ন্যাকস, ফ্রোজেন খাবার ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। এই ধরনের খাবার গাউটে আক্রান্তদের জন্য অস্বাস্থ্যকর প্রমাণিত হতে পারে এবং জয়েন্টগুলোতে বাতের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

মাছ
অ্যাঙ্কোভিস, শেলফিশ, সার্ডিন এবং টুনা জাতীয় কিছু মাছে পিউরিন বেশি থাকে। আপনার যদি গেঁটে বাত বা গাউটের সমস্যা থাকে তবে আপনাকে এই মাছগুলি এড়িয়ে চলতে হবে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে সামুদ্রিক খাবারের পরিমাণ প্রতিদিন ৬ আউন্সের কম হওয়া উচিত।

অর্গান মিট
কিডনি, লিভার এবং সুইটব্রেডের মতো অর্গান মিটে  পিউরিন বেশি থাকে এবং আপনার গাউট বা আর্থ্রাইটিস থাকলে এড়ানো উচিত।

সিফুড
সামুদ্রিক খাবার যেমন কাঁকড়া, চিংড়ি, ঝিনুক এবং শেলফিশ গাউটের কারঁ হতে পারে। বিশেষ করে রো এবং মিল্টে পিউরিনের পরিমাণ বেশি এবং আপনি যদি গাউটে ভুগছেন তবে যে কোনও মূল্যে তা এড়ানো উচিত।

Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।