লিভারের সঙ্গে যুক্ত একটি সাধারণ অসুখ জন্ডিস। জন্ডিস হলে রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণে বিলিরুবিন তৈরি হয়। বিলিরুবিন একটি যৌগ। যা লোহিত রক্তকণিকা (RBCs) থেকে হিমোগ্লোবিনের ভাঙনের ফলে গঠিত হয়। সাধারণত শরীরে এর মাত্রা থাকে ১ বা ১.২ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার-এর নীচে। রক্তের মাধ্যমে বিলিরুবিন প্রথমে পৌঁছয় লিভারে। এই রোগকে জন্ডিস বলা হয় কারণ রক্তে অতিরিক্ত বিলিরুবিন তৈরি হলে ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হতে শুরু করে। লিভারে সমস্যা থাকলে বাড়ে বিলিরুবিন।
বিলিরুবিনের মাত্রা থাকে ০.৫ থেকে ১.২ মিলিগ্রামের মধ্যে। কোনও কারণে যদি ১.৫ মিলিগ্রামের উপরে চলে যায়, তা হলে ধরে নেওয়া হয় জন্ডিস আক্রান্ত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। জন্ডিসের আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কী? আয়ুর্বেদ অনুসারে, লিভার শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যার কাজ হল শরীরকে পুষ্টির জোগান দেওয়া। আয়ুর্বেদে সহজ ঘরোয়া প্রতিকার জন্ডিস নিরাময় করতে পারেন।
১। টমেটো রস
এক গ্লাস টমেটোর রসে সামান্য লবণ ও কালো মরিচ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খান। জন্ডিসের জন্য খুবই কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার।
২। মুলোর পাতা
মুলোর কয়েকটি পাতা নিন। এর রস বের করুন। প্রতিদিন প্রায় আধ লিটার নির্যাসিত রস খান। দশ দিনের মধ্যে জন্ডিস থেকে মুক্তি পাবেন।
৩। পেঁপে পাতার রস
এক চা চামচ পেঁপে পাতার পেস্টে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি এক সপ্তাহ নিয়মিত খান। জন্ডিসের জন্য খুবই কার্যকরী একটি ঘরোয়া প্রতিকার।
৪। আখ
হজম এবং লিভারের ভাল কার্যকারিতায় সাহায্য করে আখ। সেজন্য জন্ডিস রোগীর দ্রুত সুস্থতার জন্য কার্যকর। এক গ্লাস আখের রসে সামান্য লেবুর রস যোগ করুন। ভাল ফলের জন্য দিনে দু'বার এই রস খান। রস বের করার আগে আখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিন।
৫। তুলসী পাতা
১০-১৫টি তুলসী পাতা নিন। এ থেকে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এতে আধ গ্লাস সদ্য প্রস্তুত মুলোর রস যোগ করুন। ভাল ফলের জন্য দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন খান।
৬। আমলা
আমলা ভিটামিন সি-র একটি ভাল উৎস। জন্ডিস কমাতে খুবই উপকারী। এ জন্য প্রতিদিন সকালে আমলার রস খেতে পারেন। অথবা কালো লবণ দিয়ে চিবিয়ে খান।
৭। বার্লি
এক কাপ বার্লি জল প্রায় তিন লিটার জলে ফুটিয়ে নিন। ক্রমাগত ফুটিয়ে এই পানীয় খান। দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন।
আরও পড়ুন- খোসা-সহ আমন্ড খাচ্ছেন? সাইডএফেক্ট জানলে আর খাবেন না