scorecardresearch
 

Question About Baby: 'বাচ্চা নিচ্ছ না কেন?' এই প্রশ্ন করে কেউ উত্যক্ত করলে মোক্ষম জবাবটি রইল

এমন কি কখনও হয়েছে যে, আপনি কাউকে কোনো প্রশ্ন করার পর কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে তিনি চুপ হয়ে গেছেন বা এরপর থেকে আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? এমনটা যদি কখনো হয়ে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে, তাঁকে আপনি বিব্রতকর কোনো প্রশ্ন করেছিলেন।

Advertisement
প্রতীকী ছবি। প্রতীকী ছবি।
হাইলাইটস
  • এমন কি কখনও হয়েছে যে, আপনি কাউকে কোনো প্রশ্ন করার পর কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে তিনি চুপ হয়ে গেছেন বা এরপর থেকে আপনাকে এড়িয়ে চলছেন?
  • এমনটা যদি কখনো হয়ে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে, তাঁকে আপনি বিব্রতকর কোনো প্রশ্ন করেছিলেন।

এমন কি কখনও হয়েছে যে, আপনি কাউকে কোনো প্রশ্ন করার পর কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে তিনি চুপ হয়ে গেছেন বা এরপর থেকে আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? এমনটা যদি কখনো হয়ে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে, তাঁকে আপনি বিব্রতকর কোনো প্রশ্ন করেছিলেন। বাস্তবিক অর্থে, নিজের মন থেকে কাউকে এতটা ‘আপন’ ভেবে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে বসাটা ঠিক দায়িত্বশীল আচরণ নয়। 

সামাজিক আলাপচারিতার সময় অবশ্যই নিজের সীমা খেয়াল রাখুন। প্রশ্ন করে কাউকে ‘উত্ত্যক্ত’ করবেন না। বিয়ে কিংবা সন্তানধারণের মতো সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে আলাপ করা থেকে বিরত থাকুন। ‘বিয়ে কবে করবে?’ কিংবা ‘বাচ্চা নিচ্ছ না কেন, কোনও সমস্যা?’ এমন প্রশ্ন কিন্তু আপনার বিচার-বিবেচনা বোধকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। আবার কেউ হয়তো বিয়ে করেছেন বেশ কিছুদিন হলো। কবে তিনি বাচ্চা নিচ্ছেন, এ নিয়ে অত্যুৎসাহ দেখাবেন না। কিংবা কারও হয়তো অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি সন্তানের জন্ম হয়েছে। পুত্রসন্তানের আশায় বারবার সন্তান নিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্ন করতে যাওয়াও অবান্তর। 


যেসব উত্তর দেবেন-

আরও পড়ুন

বাচ্চা নিচ্ছ না কেন, এই প্রশ্নের উত্তরে বলুন, এটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার। অথবা কথা ঘুরিয়ে দেওয়া কিছু বলতে পারেন। অথবা ওই ব্যক্তিকে নম্রভাবে পরিস্কার বলুন, আপনি এধরণের প্রশ্ন পছন্দ করেন না। বাচ্চা নেওয়া বা না নেওয়া একান্তই আপনার সিদ্ধান্ত। অন্য কেউ সে বিষয়ে প্রশ্ন করুক, তা আপনি মোটেও পছন্দ করেন না।

মনের ওপর প্রভাব
অস্বস্তিকর প্রশ্নবাণে কাউকে জর্জরিত করলে সেই আঘাতের ক্ষত কতটা গভীর হয়, এমনকি আপনি কৌতূহলের বশে প্রশ্ন করলেও এই প্রশ্নের স্বরূপটা তাঁর জায়গা থেকে কেমন, কখনো ভেবে দেখেছেন কি? এমন অনেক বিষয় থাকে, যা নিয়ে ব্যক্তি নিজেই হয়তো মর্মাহত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, সেটা নিয়ে আপনি আবার যখন তাকে প্রশ্ন করেন, তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। এসব প্রশ্ন তাঁর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

Advertisement

নেতিবাচক প্রশ্নে একজন ব্যক্তি বিপন্ন বোধ করতে পারেন। সেখান থেকে তাঁর মনে আতঙ্ক জন্মাতে পারে। নেতিবাচক চিন্তা, হতাশা, এমনকি অপরাধ বোধ এবং হীনম্মন্যতায়ও ভুগতে পারেন তিনি। যখন কেউ নিয়মিত এসব প্রশ্ন শুনতে শুরু করেন, তখন তিনি সামাজিক আয়োজনও এড়িয়ে চলতে পারেন। যত দিন বেঁচে থাকতে হবে, তত দিন এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, এমন ভাবনায় আক্রান্ত হতে পারে মন। আত্মহত্যার প্রবণতাও সৃষ্টি হতে পারে।

 

Advertisement