scorecardresearch
 

Daily Habits That Damage Your Brain: সাবধান! রোজের এই ৭ বদভ্যাসে কম বয়সেই অকেজো হয় মাথা

মস্তিষ্কই সারাদিন নানা কিছু ভাবতে সাহায্য করে। যে কোনও ক্রিয়ার পিছনেই থাকে মাথা। তাই মাথার যত্ন না নিলে মানুষ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু অনেক ছোটখাটো অভ্যাস, ডায়েট মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। যার ফলে কম বয়সেই মস্তিষ্ক ভাবনাচিন্তা করার শক্তি হারিয়ে ফেলে।

Advertisement
Bad Habits For The Brain Bad Habits For The Brain
হাইলাইটস
  • মাথার যত্ন না নিলে মানুষ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
  • অনেক ছোটখাটো অভ্যাস, ডায়েট মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।

মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল মস্তিষ্ক। কারণ মাথা সমগ্র শরীরের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্কই আসলে মানুষের মন। মস্তিষ্কই সারাদিন নানা কিছু ভাবতে সাহায্য করে। যে কোনও ক্রিয়ার পিছনেই থাকে মাথা। তাই মাথার যত্ন না নিলে মানুষ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু অনেক ছোটখাটো অভ্যাস, ডায়েট মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। যার ফলে কম বয়সেই মস্তিষ্ক ভাবনাচিন্তা করার শক্তি হারিয়ে ফেলে। তাই সময়ে মস্তিষ্কের যত্ন নেওয়া জরুরি। সেজন্য খারাপ অভ্যাসগুলি ত্যাগ করাই শ্রেয়। এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মানুষের মস্তিষ্কের উপর। যার ফলে কম বয়সে বুড়িয়ে যায় মস্তিষ্ক। মানুষ ভাবনাচিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। 

অপর্যাপ্ত ঘুম- ঘুমের অভাব শুধুমাত্র আপনার মনকে প্রভাবিত করে না বরং স্বাস্থ্যেরও নানাভাবে ক্ষতি করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ কোনও সমস্যায় আপনি দিশা খুঁজে পাবেন না। মাথায় যথাসময়ে বুদ্ধি আসে না। যে কোনও বিষয়ে গভীরে যেতে সমস্যা হয় না। স্মৃতিশক্তিও ধরে রাখতে অক্ষম হন মানুষ। তাই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি।

নেতিবাচক চিন্তা- কিছু মানুষ সবসময় নেতিবাচক চিন্তা করেন। নিজের উপর ভরসাও রাখেন না। সবসময় খালি ভাবেন এটা হবে না, সেটা হবে না! এসব বলে কিন্তু নিজের অজান্তেই তাঁরা নিজের ক্ষতি করে চলেছেন। কোনও বিষয়ে অত্যাধিক ভাববেন না। ভাবলেও ইতিবাচক ভাবুন। নেতিবাচক ভাবনা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্ আনে। নেতিবাচক চিন্তা মনের ক্ষতি করে। মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ইতিবাচক চিন্তা করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

অতিরিক্ত পরিমাণে জাঙ্ক ফুড- অতিরিক্ত পরিমাণে তেল-ঝাল ও মশালাদার জাঙ্ক ফুড শুধু শরীরেই ওজনই বাড়ায় তাই নয়, প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যেও। কারণ বেশি জাঙ্ক ফুড খাওয়া মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্মৃতিশক্তিকে প্রভাবিত করে। আসলে, জাঙ্ক ফুড খেলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়। খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে জাঙ্ক ফুডে থাকা উপাদান বিলোপ করে স্মৃতিশক্তিও। 

Advertisement

সবসময় একা থাকা- অনেকে মানুষ লোকজন পছন্দ করেন না। তাঁরা একা থাকতে চান। সারাক্ষণ একা থাকলে মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কারণ সেই ব্যক্তি নিজের মনের কথা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন না। তাঁর মনের কষ্ট নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন। অজান্তেই তৈরি হয় বিষণ্ণতা। ধীরে ধীরে ব্যক্তি অবসাদে চলে যান। এতেও ক্ষতি হয় মস্তিষ্কের। তাই মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা দরকার। মনের কথা শেয়ার করা উচিত। 

জোরে গান শোনা- অনেকেই এখন বাসে-ট্রেনে যাতায়াতের সময় গান শুনতে শুনতে যান।  কানে হেডফোন লাগিয়ে জোরে গান শুনলে ক্ষতি হয় মস্তিষ্কের। অজান্তেই বারোটা বেজে চলেছে মস্তিষ্কের। 

টানা কাজ- ল্যাপট্যাপ ও কম্পিউটারে বদ্ধ ঘরে টানা কাজ করেন অনেকে। প্রায় সারাদিন কাটে অফিসের আলোয়। চোখে আসে ল্যাপটপের ক্ষতিকারক রশ্মি। বাড়িতে গিয়ে অন্ধকারে ঘাঁটেন মোবাইল ফোন! এই সব স্বভাবের প্রভাব পড়ে মস্তিষ্ক। অজান্তেই সেই ব্যক্তি হতাশাগ্রস্ত হয়ে ওঠেন। নিজের মস্তিষ্কের উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তাই অতিরিক্ত কাজ করবেন না। কাজে ভারসাম্য আনুন। মোবাইল না ঘেঁটে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ওয়ার্কআউট করুন। ব্যায়াম মস্তিষ্ককে সচল রাখে। 

নেশা- অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। মস্তিষ্কের কোষে প্রভাব ফেলে। কমে যায় স্মৃতিশক্তি। ডিমেনশিয়ার শিকারও হতে পারেন। তাই মদ ও সিগারেট থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। নইলে অল্প বয়সেই মাথা কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। 

Advertisement