খারাপ জীবনযাত্রা, স্ট্রেস, ভেজাল খাবার ইত্যাদি নানা কারণে চুল পড়ার সমস্যা বেড়েই চলেছে। কিছু মানুষকে এই সমস্যায় অনেক বেশি পড়তে হয়। চুল পড়তে পড়তে, ধীরে ধীরে টাকের সমস্যায় পড়েন তারা। টাক পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এমন কিছু জিনিস ব্যবহার করা জরুরি যা, আপনার চুল পড়া কমায় এবং চুলের বৃদ্ধিও বাড়ায়। জানুন টাক এড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায়।
ম্যাসাজ
মাথার ত্বক অর্থাৎ স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে রক্তের প্রবাহ বাড়ে, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। একটি ভাল হেয়ার অয়েলের সাহায্যে হালকা হাতে চুলে ম্যাসাজ করা জরুরি।
আমলকী
আমলকিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড যা, চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করতে কাজ করে এবং এতে উপস্থিত ভিটামিন সি চুলের অকাল পক্কতা রোধ করে।
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে চুলের বৃদ্ধি হয়। পেঁয়াজের রস অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা নামক রোগের জন্য খুবই উপকারী। এই রোগের কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে চুল পড়তে শুরু করে। শ্যাম্পু করার ১৫ মিনিট আগে পেঁয়াজের রস চুলে লাগাতে হবে।
লেবু
লেবু, চুলের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত। এটি চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লেবু সরাসরি চুলে লাগানো ভাল না। এক্ষেত্রে কিছু তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।
নারকেল তেল
নারকেল তেল মাথার স্ক্যাল্পের মাইক্রোবায়োটা উন্নত করে। যার ফলে চুলের ফলিকল এবং মাথার ত্বককে শক্তিশালী করে। নারকেল তেলে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা, চুলের শ্যাফটে প্রবেশ করে এবং চুল পড়া রোধ করে। সপ্তাহে অন্তত দু'বার, আপনার স্ক্যাল্পে নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন এবং স্নান করার আগে কয়েক ঘণ্টা বা সারা রাত রেখে দিন।
ক্যাস্টর অয়েল
চুলের জন্য ক্যাস্টর অয়েল অলৌকিকতার চেয়ে কম নয়। এতে প্রোটিন, ভিটামিন ই এবং অনেক ধরনের মিনারেল পাওয়া যায়। ক্যাস্টর অয়েল পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন তেল, তাই এটি সরাসরি চুলে লাগানো যায় না। ক্যাস্টর অয়েল সব সময় অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলের সঙ্গে মেশাতে হবে।
ডিমের মাস্ক
ডিমের মাস্ক আপনার চুলের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ডিমে ৭০ শতাংশ কেরাটিন প্রোটিন থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্থ এবং শুষ্ক চুল নরম করতে কাজ করে। ২ ডিমে ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে নিন এবং চুল ধোয়ার ৩০ মিনিট আগে এই মাস্কটি চুলে লাগান।